জোকা মেট্রো কি পার্কস্ট্রিটে এসেই থেমে যাবে? তেমনই আশঙ্কা তৈরি হল। কারণ এখন যেখানে ময়দান মার্কেট (বিধান মার্কেটꩵ) আছে, সেখানে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমতি দেয়নি সেনা কর্তৃপক্ষ। সেই পরিস্থিতিতে বিকল্প জায়গার খোঁজ করছে মেট্রো। কিন্তু বিকল্প জায়গায় স্টেশন তৈরি করা না গেলে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত এসে জোকা মেট্রো থেমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এসপ্ল্যানেডে যে ‘পরিবহণ হাব’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাও জোরদার ধাক্কা খাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। যদিও আপাতত এতদূর ভাবতে রাজি নয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রাজি নয় হাল ছেড়ে দিতেও। বরং কোন বিকল্প জায়গায় এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন তৈরি করা হবে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘এসপ্ল্যানেড হাব তৈরি হবে। কীভাবে সেটা তৈরি হবে, সেটা সময় বলবে।’
এমনিতে জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো (প্রাথমিকভাবে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো ছিল) নিয়ে একাধিকবার একাধিক জট তৈরি হয়েছে। সেইসব জট কাটিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ🔥সপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের জট। শুক্রবার মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেন, ‘যেখানে বিধান মার্কেট আছে, সেখানে (এসপ্ল্যানে✅ড) তৈরি করার কথা ছিল। পুরো বিধান মার্কেটই অনুমোদনহীন। ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের সেখানে স্টেশন তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাদের সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে।’
আর সমাধানসূত্র হিসেবে এসপ্ল্যানেড স্টেশন🍨 তৈরির জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো রে﷽লওয়ের জেনারেল ম্যানেজার। তিনি বলেন, আমার প্রাথমিকভাবে যেখানে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেখানে এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরি করা নাও যেতে পারে। অন্যত্র এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন তৈরি করা হতে পারে। আমরা সেইমতো পরিকল্পনা করছি। আমাদের পরিকল্পনা হয়ে গেলে জানাব।'
তিনি জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর (গ্রিন লাইন), নর্থ-সাউথ মেট্রো করিডর (ব্লু লাইন) এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের (পার্পল লাইন) ‘ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট’ হয়ে উঠুক এসপ্ল্ไযান♕েড। অর্থাৎ সেই তিনটি মেট্রো লাইনের সংযোগস্থল হয়ে উঠুক। আর সেই এসপ্ল্যানেড কেন্দ্র করে পরিবহণ হাব গড়ে তোলা হোক। তাঁর কথায়, ‘আমরা এখনও চাই যে এসপ্ল্যানেডে (তিনটি মেট্রোর) ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট হোক। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আরও একটি ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট হল পার্কস্ট্রিট।’