উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভের মেলা💯য় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় যাঁরা অকালে এবং নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন আমাদের রাজ্যর ছয় বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ সরকার যাতে তাঁদের সকলের নামে অবিলম্বে 'ডেথ সার্টিফিকেট' ইস্যু করে, সেই দাবি🍬 তুললেন স্বজনহারাদের পাশে থাকা একটি নাগরিক সংগঠন। একইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়েছে তাদের তরফে।
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে পদপিষ🔜্ট হয়ে বাংলার যে ছয় সহনাগরিককে আমরা হারিয়েছি, সেই তালিকায় রয়েছেন - অমল পোদ্দার (শিলিগুড়ি লাগোয়া বাড়িভাষার মাদানি বাজার এলাকার বাসিন্দা), অমিয় সাহা (কালিয়াচক-৩ ব্লকের রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা), মিঠুন শর্মা (আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁর বাসিন্দা), বিনোদ রুইদাস (জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রামের বাসিন্দা), উর্মিলা ভুঁইয়া (শালবনির গোদাপিয়াশাল কাছারি রোডের বাসিন্দা), বাসন্তী পোদ্দার (কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)।
এই ছ'জনের মধ্যে তিনজনের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পদপিষ্টের ঘটনা বর্🐓ণনা করতে গিয়ে তাঁরা অনেকেই ফুঁপিয়ে ওঠেন। জলভরা চোখ আর বুজে আসা গলায় জানান, মহাকুম্ভে মোটেও সাধারণ তীর্থযাত্রীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং, অধিকাংশ ক্ষ💃েত্রেই চরম অব্যবস্থা দেখা গিয়েছে।
যেমন - কলকাতার বাসিন্দা সুরজিৎ পোদ্দার জানান, তিনি তাঁর মাকে চোখের সামনে অসহায়ের মতো শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন। তাঁর মা বাসন্তী পোদ্দার যখন অন্য তীর্থযাত্রীদের পায়ের নীচে পড়ে থেকে পিষ্ট হচ্ছেন, সেই মুহূর্তে উত্তরপ্র🍒দেশ পুলিশের একজন সদস্যকেও সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
সবথেকে বড় কথা, যাঁরা ওই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারান, উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁদের কারও নামে ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত ইস্যু করেনি বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন স্বজনহারারা। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মহাকুম্ভের আয়োজনে উত্তরপ্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সে র꧙াজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রশাসনিক প্রধান যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি ক🧔রেছে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সংগঠনটি।
একইসঙ্গে, ওই ঘটনায় নিহত সকলের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করারꦉ জোরালো দাবিও করেন এই সংগঠনের সদস🍨্যরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার যে সংগঠনটি এই সাংবাদিক সম্ꦿমেলনের আয়োজন করেছিল, সেটি হল - 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ'। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন - প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সমাজকর্মী সুষেণ রায়, সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্র, প্রবীণ সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, চিত্রপরিচালক এবং অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায়, প্রদীপ্ত গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক নাজমুল হক, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস, অনন্যা চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে।