বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর এবারের লোকসভা নির্বাচন হবে হাইভোল্টেজ। তবে ঠিক তার প্রাক্কালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে। সকাল থেকে রাজ্য–রাজনীতিতে এই খবর নিয়েই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নতুন জাতীয় কর্মসমিত🐭ি গড়েছেꦫন। সেই তালিকায় নাম নেই দিলীপ ঘোষের। তবে তালিকায় বাংলা থেকে সচিব হিসাবে নাম রয়েছে অনুপম হাজরার। বিজেপির রাজ্যস্তরে দিলীপ ঘোষ আগেই কোণঠাসা হয়েছিলেন। শুভেন্দু–সুকান্তর বাড়বাড়ন্তে তিনি হয়ে পড়েছিলেন ব্যাক বেঞ্চার। এবার গোটা ঘটনাটি নিয়ে টুইট করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
এদিকে এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি চুপ করে গিয়েছেন🃏। কাউকে সেভাবে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে এই বিতর্কের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে এটা কারও কারও কাছে সুখকর হলেও মনে রাখতে হবে বাংলায় পদ্ম ফুটিয়ে ছিলেন এই দিলীপ ঘোষই। যেখানে বিজেপির সেভাবে বাংলায় কোনও অস্তিত্ব ছিল না, সেখানে রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই বৃদ্ধি করেছিলেন পদ্ম চাষ। যার ফসল ঘরে উঠেছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। এখন রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল তাঁর আমলেই হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি শুধু মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।
অন্যদিকে তাঁকে পরে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হবে বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের কাছে তেমন খবর নেই। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘদিন দল করে দিলীপ ঘোষ কী পেলেন? এটার উত্তর অবশ্য দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। একদা তিনি বিজেপিতে ছিলেꦿন এবং দিলীপ বিরোধী বলেই পরিচিত। এই খবর শোনার পর বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এত বছর দল করার পর তিনি ঝুনঝুনি পেলেন।’ অর্থাৎ খেলনা পেলেন বলে বোঝাতে চেয়েছেন। এই খোঁচাও এখন হজম করতে হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাকর্মীকে সপাটে চড় মারলেন মেয়র পারিষদ সদস্য তারক�ꦇ� সিং, তোলপাড় কাণ্ড
ঠিক কী লিখেছেন দিলীপ ঘোষ? পদ হারিয়ে দিলীপ ঘꦇোষ এখন নীরব। কিন্তু তিনি বোঝাতে চান এসব কোনও ব্যাপার নয়। তিনি লড়াই–আন্দোলনের মধ্যে আছেন। তাই টুইট করে তিনি লেখেন, ‘উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকের বাজারগাও অঞ্চলের খিদিরপুকুর থেকে জেলেদের জালে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল। আপনাদের ভোটের ভবিষ্যৎ জলে! আর তাই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎও জলে।’ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে একদিকে তিনি বাবুল সুপ্রিয়কে জবাব দিলেন। আবার দলের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিচ্ছেন সেটা বোঝালেন। এক ঢিলে দুই পাখি। যদཧিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’