চলতি বছরের গরমেই টের পাওয়া গিয়েছে জল না পেলে কতটা কষ্ট হয়।༺ আর শহর থেকে গ্রামবাংলায় জলকষ্ট পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তার জন্য দায়ী জল অপচয় করা। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও নাগরিকদের সচেতন করা যায়নি। আর তাই পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে এবার কড়া আইনি পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই)। এই বিষয়ে বিধানসভায় একটি বিলও আনবে রাজ্য সরকার বলেও খবর। এই বিষয়ে নয়া বিল এবার আসছে বিধানসভায়। বুধবার সে কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগর♍ি ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়।
এদিকে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে, রাজ্যজুড়ে পানীয় জলের অপচয় করা হচ্ছে। গবাদি পশুপালনেও কয়েকটি জায়গায় পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে! আবার কোথাও পানীয় জল ব্যবহৃত হচ্ছে হ্যাচারি, পোলট্রি, পুকুরে মাছচাষ–সহ নানা কাজে। এমনকী অভিযোগ এসেছে, পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের কাজে। কিন্তু চাষের জন্য সেখানেই পৃথক জলের ব্যবস্থা আছে। সুতরাং পানীয় জলের অপচয়ের অভিযোগ পেয়ে এবার পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘মোটর দিয়ে বহু মানুষ জল তুলছেন। কেউ নার্সারি, কেউ হ্যাচারি অথবা কেউ তা রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করছে। জলের অপচয় বไন্ধে বিধানসভায় বিল নিয়ে আসা হবে। মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হ💧বে।’
আরও পড়ুন: খ♛ালে ভেসে ওঠা বস্তাবন্দি দেহ নাবালিকার, রিজেন্ট পার্ক খুনের ঘটনায় লিভ ইন সম্পর্কের তথ্য
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার বহু কাজ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘ডাবগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে খরচ হবে ৫২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। তার ফলে ৩১ হাজার ১৩৭টি পরিবারওে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই ৯০ লক্ষাধিক পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। জুন–জুলাই মাসে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেও🤪য়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। প্রকল্পগুলি চালাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ৪,১৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে। তারপরও বাংলার সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা চলছে।’
এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পুলক রায়কে বিরো꧒ধী দলের বিধায়কের প্রশ্ন করেন, আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড দূষণ নিয়ে। জব🔥াবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার কিছু ব্লককে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণ এবং ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৮টা জেলার ৮৩টি ব্লক আর্সেনিক কবলিত। চারটে জেলার ৪৩টি ব্লক ফ্লোরাইড কবলিত। এই নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধান চলছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলার সব পরিবারে জল পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার।’