জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্নাতকস্তরে চার বছরের পাঠক্রম করতে চ🐟ায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আর সেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতটা মান্যতা দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এখনই স্নাতকে চার বছরের পাঠক্রম চালু করা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আজ, শনিবার জানান, উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির মতামত নেওয়া হবে। তার পরেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তাহলে বাংলায় স্নাতক পাঠক্রম কি চার বছরেরই হবে? এই প্রশ্নই এখন গোটা বাংলায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ শনিবার ভাষামেলায় যোগ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এই শিক্ষানীতি নি🅠য়ে কোনও কথা বলব না। চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে আগে কমিটি গঠন করব। উপাচার্যদের নিয়ে তা গঠন করা হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কেমন করে কার্যকর করা হতে পারে সেটা নিয়ে সেই কমিটি মত দেবে। তার পর এই বিষয় নিয়ে আমরা বলতে পারি।’
পরিকাঠামোর সমস্যা হবে না তো? চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তার সঙ্গে দরকার উপযুক্ত পরিকাঠামোর। এই বিষয়ে ব্রাত্য বসুর বক্তব্য ‘এই নির্দেশিকা নিয়ে যেটুকু বলতে প𒊎ারি সেটা হল, পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রচুর টাকা দরকার। আর সেটা নিয়ে ইউজিসি চুপচাপ রয়েছে। তাই টাকা পয়সার ক্ষেত্রে পরিষ্কার নির্দেশিকা চাই।’ তবে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম বাংলার কলেজগুলিতে চালু করা যায় কি 𓃲না সেটা দেখতে চায় রাজ্য।
আর কী জানা যাচ্ছে? গত ১৭ মার্চ রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, স্নাতক স্তরের ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করতে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের সহ–সচিবের সই করা নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের পাঠানো হয়েছে। তবে অনার্স কোর্সের মেয়াদ হবে চার বছর। আজ, শনিবার ভাষা মেলায় এসে ব্রাত্য বলেন𒊎, ‘সরকারি ইংরেজি মিডিয়াম হলেও পড়তে হবে। বেসরকারি স্কুলে বাংলা পড়ানোর দাবি জানাতে পারি। ফতোয়া দিতে পারি না। বেসরকারি স্কুলে আবেদন জানাতে পারি, তারা যেন বাংলা পড়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, মাতৃভাষার যেন সাড়ম্বর উদ্যাপন হয়। তাই এই ভাষা মেলার আয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে তো প্রথম, যে কোনও রাজ্যে এই প্রথম ভাষা মেলা উদযাপন হল।’