আবার শহর কলকাতায় শনিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আজ ইএম বাইপাসের ধারে আরুপোতার একটি গ্যারেজে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা য💯াচ্ছে একাধিক গাড়ি। কালো ধোঁয়ায় কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এই খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাসিন্দাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত করা হয় গোটা এলাকার। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। এলাকার বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ক্ষোভ রয়েছে দমকলের ভূমিকা নিয়েও।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্কে রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু করেছেন বাসিন্দারা। এখানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তের মধ্যꦰে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলি পরপর জ্বলতে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গ্যারেজের। এই অবস্থা দেখেইಌ খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয় বাসিন্দারাই শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে হাত লাগান। আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যে গ্যারেজে আগুন লেগেছে তার পাশেই আছে জনবসতি। সেখানের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে খবর। কোনও হতাহতের খবর নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে বসন্ত উত্সব নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, এবারও প্রবেশে কড়াকড়ি থাকছে
অন্যদিকে দমকল কর্মীরা আসতে দেরি করেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও তা মানতে নারাজ দমকল বাহিনী। এলাকার মানুষজনই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। আর যে জায়গায় এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে সেটি বেশ জনবহুল। তাই দমকলের গাড়ি নিয়ে সেখানে ঢুকতে বেশ খানিকটা বেগ পেয়েছে। দমকল কর্মীদের বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। ওই গ্যারেজের আশপাশে আছে অনেক ঝুপড়ি। গোটা এলাকাতেই ঘন জনবসতি থাকার কারণে🅘 আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখেন দমকল ক🧸র্মীরা। দমকলের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ দমানো যায়নি বলেই খবর। এখনও বেশ কিছু জায়গায় আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে বলে খবর।
এছাড়া দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না এলে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বোঝা সম্ভব নয়। তবে ভিতরে কেউ আটকে ছিলেন না এটা নিশ্চিত। হতাহতের তাই কোনও খবর নেই। আরুপোতা ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। দমকল সূত্রে খবর, গ্যারেজের বাইরে থেকে পাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণে🐻র 🌜চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে ১০ থেকে ১২টি গাড়ি পুড়ে গিয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অজানা।