মোমিনপুর কাণ্ড নিয়ে একের পর এক সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তভা🌸র নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এর আগেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের অন্যান্🔯য নেতারা সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। এবার এনআইএকে অপব্যবহারের অভিযোগ তুললেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ফিরহাদ হাকিম বলেন💃, ‘পাড়ায় একটা পটকা ফাটলেও এনআইএ চলে আসছে। কীভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে! মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণে এনআইএ দরকার ছিল। কাশ্মীরে বিভিন্ন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ দরকার।’ কেন মোমিনপুরে এনআইএ’র তদন্তের প্রয়𝔍োজন নেই? সেই প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, ‘এরকম হলে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় এনআইএ তদন্তের দরকার।’ তার প্রশ্ন, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাতে এনআইএ দরকার। কিন্তু সেখানে এনআইএ তদন্ত না করে কেন মোমিনপুরে কেন এনআইএ আসবে?
ফিরহাদ মনে করেন, মোমিনপুরে এমন কিছু হয়নি। শুধু গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘প্রথমে পুলিশের যতটা সক্রিয়তা প্রয়োজন ছিল ততটা দেখায়নি। তবে পরে সক্রিয়তা দেখিয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম থেকে পুলিশ সক্রিয় থাকলে এত কিছু হতো না।’ তিনি বলেন, আগে শুনতাম বড় কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে এনআইএ আসে। বড় দুর্নীতি হলে সিবিআই আসে। আর এখন সবকিছুতে সিবিআই, এনআইএ আসছে। পটকা ফাটলেও আসছে, পেট্রোল বোমা ফাটলেও আসছে।’ বরঞ্চ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেশের নিরাপত্তার সাথে আরও বড় বড় কাজে লাগানো উচিত তিনি মনে করেন। তিন༺ি আরও বলেন, ‘বামফ্রন্টের আমলে তিন ঘণ্টা ধরে আমি বোমাবাজি দেখেছি। কিন্তু কই সেই সময় তো এনআইএ আসেনি।’