অত্যধিক বৃষ্টির জেরে কলকাতায় নীচু এলাকায় জমে থাকা জল সরাতে এবার তৎপর হলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।নীচু এলাকায় জলবন🎶্দি হয়ে পড়া মানুষকে যাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে না হয়, সেজন্যই এবার উদ্যোগী হয়েছেন কলকাতার পুর প্রশাসক।
বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতা সব জায়গাতেই জলে থৈ থৈ অবস্থা। উত্তর কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির সামনে যেমন জল জমে যায়, তেমনি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, ঢাকুরিয়া,꧑ লেক গার্ডেন্স, যোধপুর পার্ক, আলিপুরের বর্ধমান রোড, খিদিরপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জল জমে। জল জমে যায় সা☂দার্ন অ্যাভিনিউয়ের বিভিন্ন রাস্তায়।তবে কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরনিগমের কর্মীরা গতকাল রাত থেকে রাস্তায় নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, মোমিমপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ১৭৯ মিলিমিটার। এছাড়াও বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার, কালীঘাটে ১৬৮ মিলিমিটার, বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি গতকাল রাত থেকে এদিন ভোর পর্যন্ত মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ৮২ মিলিমিটার ও উল্টোডাঙায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৪ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২ দিন নীচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা বাড়ছে। নদীর𒁏 জলস্তর বাড়বে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার জন্য ট্রাফিক পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তদারকিতে নেম পড়েন কলকাতার পুর প্রশাসক। যত তাড়াতাড়ি যাতে শহরের মানুষকে জমা জলের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া যায়, সেই বার্তা দিয়েছেন পুর প্রশাসক।