স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নাল দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারা ভারতে স্ট্রোকের ফল🅘ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ মানুষের। যা ওই বছরের মোট মৃত্যুর প্রায় ৭.৪ শতাংশ। এই সংখ্যাটা যথেষ্টই উদ্বেগজনক। পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে অনেক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকলেও সরকারি স্তরে সব জায়গায় এখনও স্ট্রোক চিকিৎসার পরিকাঠামোই গড়ে ওঠেনি। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার দেশের মধ্যে প্রথম স্ট্রোক হাসপাতাল হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।
প্রাথমিকভাবে স্ট্রোক হাসপাতালের জন্য ভবানীপুরের পুল💝িশ হাসপাতালকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্তা এবং নিউরোলজির বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও এই হাসপাতাল পরিদর্শন করে সেখানে স্ট্রোক চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো তৈরিতে সায় দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিশ হাসপাতালের দূরত্ব পিজি থেকে খুব বেশি নয়। ফলে সেখানে স্ট্রোক হাসপাতাল গড়ে তুললে সুবিধা হবে। এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক স্ট্রোক চিকিৎসা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য দফতর বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট এবং বাঙুরের নিউরোলজির অধ্যাপক বিমলকান্তি রায়কে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রোগীদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও সেই অর্থে সচেতনতা বাড়েনি। তাছাড়া স্ট্রোক চিকিৎসার জন্য সরকারি কোনও হাসপাতালে অবধি পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। ফলে স্ট্রোক চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল গড়ে উঠলে💜 তাতে স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের সারিয়ে তোলা সম্ভব।
এছাড়াও স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য একই ছাতার তলায় আনা সম্ভব হবে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরেও চিকিৎসার প্রয়োজন। স🦋্ট্রোক হাসপাতাল থাকলে রিহাবের মাধ্যমে রোগীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা চালানোও সম্ভব হবে। সেই কারণে আলাদা স্ট্রোক হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে।