ডিভিসি নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার ফলে এক বড় বিপর্যয় ঘটেছে। যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। দক্ষিণবঙ্গের বানভাসী পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে নালিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাব দেওয়া হয়। জল শক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল দাবি করেন, রাজ্যের সম্মতি নিয়েই ডিভিসি জল ছাড়ে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে। সেই চিঠির জবাবে আবার নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কেন্দ্রের বক্তব্য সঠিক নয়। অনেক সময়ইꦆ এমন হয় যে, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া জল ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, এটা ম্যান মেড বন্যা। যা ২০০৯ সালের পর থেকে নিম্ন দামোদরে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বাংলার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নালিশ করেছেন তাতে তাঁর বক্তব্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি তখন জল না ছাড়ার অনুরোধ করেন। যদিও সেই অনুরোধ শোনা হয়নি। এমনকী রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার অনুমোদনই করেনি। রাজ্যে🦄 সরকারের পক্ষ থেকে জলের পরিমাণ কমিয়ে প্রথমে ২.৩ লক্ষ কিউসেক ও পরে দু’লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেই অনুরোধও শোনা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের নজরে এখন টালা থানার এক এসআই, বিরূপাক্ষ–অভীকের সঙ্গেই তলব
এখন এই বানভাসী পরিস্থিতিতে বাংলার কৃষকদের ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জেরে বাজারে এখন সবজির দর আগুন। সামনে দুর্গাপুজো। তার আগে গ্রামবাংলার সমূহ ক্ষতি হয়ে গেল। এই আবহে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লেখেন, ‘জল শক্তি মন্ত্রকের চিঠির প্রেক্ষিতে আমি এই চিঠি লিখছি। আপনার মন্ত্রী দাবি করেছেন, ডিভিসির নিয়ন্ত্রণ কমিটির মাধ্যমে মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধ পরিচালিত হয়, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। আমি সেটা মানি না। কেন্দ্রীয় জল কমিশন এবং জল শক্তি মন্ত্রকই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কখনও কখনও রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়া হয়। রাজ্যের অনুরোধও শোনা হয় না। তাই আমার সরকার বাংলাকে অপমান এবং অসহয়োগিতার প্রতিবাদে ডিভিসি থেকে দ্রুত প্রতিনিধি প্রত্যাহার করছি।’
এছাড়া ইতিমধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান (১২৩৮.৯৫ কোটি টাকা) এবং উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার (৪৯৬.৭০ কোটি টাকা) জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাংলা একা অনেক কাজ করছে। সেখানে মুর্শিদাবাদে ভূমিধস নিয়ন্ত্রণ প্📖রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অর্থ বরাদ্দ এখনও বাকি আছে। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদীকে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, দক্ষিণবঙ্গে বন্যা নিয়ন্🌠ত্রণের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োজন। কেন্দ্রের বরাদ্দ এক্ষেত্রেও অপর্যাপ্ত।