প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখে ভুগছিলেন। আজ, মঙ্গলবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিক🃏িৎসাধীন ছিলেন। তাঁর দু’বার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। প্রথমবার হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। তবে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার–সহ অন্যান্যরা।
মানববাবু সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। পরে বেলেঘাটা থেকে জিতে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সখ্যতা ছিল। যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযো💫গ ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে মন্ত্রী থাকার সময়ে জড়িয়েছিলেন চশমা বিতর্কে। যদিও তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দীর্গদিন সভা–সমাবেশে বা পার্টি অফিসে আসা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
গত অগস্ট মাসে এই সিপিআই🍨এম নেতার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়েছিল। কয়েক বছর আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল মানব মুখোপাধ্যায়ের। সিপিআইএম সূত্রে খবর, অগস্ট মাসে ফের স্ট্রোকে আকജ্রান্ত হন তিনি। তখন থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মুকুন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তখন সুস্থ হয়ে বাড়ি 🐎ফিরলেও পরে আবার আক্রান্ত হন। অসুস্থতার কারণেই মেয়াদ শেষের ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚআগেই সম্পাদকমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি নেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কল্লোল মজুমদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মানব মুখোপাধ্যায়। মার্ক্সবাদী ত𓆉ত্ত্ব চর্চায় মানব ছিলেন সামনের সারিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা একাধিক বইও আছে। আজ, মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন মানব মুখোপাধ্যায়। তারপর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মানববাবুর স্ত্রী ঈশিতা মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ▨্যাপক।