এক যুবক গুটখা কিনতে গিয়েছিলেন।🌃 আর সেখানে দোকানদারের সঙ্গে টাকা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। দু’পক্ষের মধ্যে টাকা নিয়ে বচসা হয়। সেটাই পরে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। সেখানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করে ফেলেন দোকানি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। এই মারধরে মারাত্মক জখম হন ওই যুবক। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে নেমেছে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৬ অক্টোবর চন্দন প্রতাপ কুরি এবং আকাশ প্রতাপ কুরি নামের দুই যুবক যায় গিরিশ পার্ক থানা এলাকার একটি দোকানে গুটখা কিনতে। অভিযোগ, এই গুটখা কেনার সময় বাড়তি অর্থ দাবি করে দোকানি। সেটা নিয়েই শুরু হয় বচসা। পাঁচ টাকা দাম গুটখার। সেখানে বিক্রেতা দশ টাকা দাম দাবি করে। কেন বাড়তি টাকা চাওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন করতেই গোলমাল বেঁধে যায়। এই প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে ওঠে দোকানদার। আর আকাশের উপর আচমকা হামলা করে। আর এই হামলার জেরে ও༒ই যুবক মাটিতে পড়ে গেলে বেধড়ক পেটানো হয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? দোকানদারের এই মারমুখী অবস্থা দেখে আর এক যুবক চন্দন প্রতাপ কুরি লোকজন ডাকতে যান। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আকাশ। তারপর তাঁকে হাসপাতালে চি♈কিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে আকাশের দাদার দাবি, বিক্রেতা একটি লাঠি এনে আকাশকে মারতেই থাকেন। এই মারের চোটেই মারা যান আকাশ। গুরুতর জখম হন ওই যুবক আকাশ (১৭)। তখন তড়িঘড়ি আকাশকে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলে চ🎃িকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমেছে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেমন আছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকার সম্ভা🌜বনা
আর কী জানা যাচ্ছে? যুবক আকাশ প্রতাপ কুরির দাদা হলেন চন্দন প্রতাপ কুরি। দুই ভাইয়ের গুটখার নেশা ছিল। আর সেটাই জীবন কেড়ে নিল। এই ঘটনায় উত্তর কলকাতায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সামান্য গুটখার দাম নিয়ে যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেটা অনেকে কল্পনাই করতে পারছেন না। মৃতের দাদা চন্দন প্রতাপ কুরি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ভাই দোকানে ৫ টাকার গুটখা কিনেছিল। দোকানদার দশ টাকা দাম চাইতেই ভাই প্রশ্ন করে, কেন পাঁচ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে? তখন ওই দোকানি ভাইকে গালিগালাজ ক😼রে। ভাই আমায় ডাকে। আমি যাওয়ার পর ভাইয়ের পাশাপাশি আমাকেও মারধর করে দোকানদার।’