ট্যাব হোক বা স্মার্টফো𝓀ন— পড়াশোনার জন্য যে ডিভাইস পছন্দ তা নিজেরাই কিনে নিতে পারবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ, টেন্ডার দিয়েও মিলছে না সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব। তাই উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। তাও তিন সপ্তাহের মধ্যে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ✅বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ হিসেবে মমতা বলেন, ‘আমরা টেন্ডারিং করলেও বড়জো🌟র এক থেকে দেড় লক্ষ ট্যাব পাওয়া সম্ভব। সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব কারও কাছেই নেই। তার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কোনও চীনা পণ্য আমদানি করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সেটা করাও সম্ভব নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গে ১৪,০০০ উচ্চ মাধ্যমিকꦍ স্কুᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚল ও ৬৩৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। সরকারি ও সরকার পোষিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ৯.৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমরা প্রত্যেক দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা সরাসরি দিয়ে দেব। কেউ নিজের পছন্দ মতো ট্যাব কিনতে পারে, বড় স্মার্টফোন কিনতে পারে। সেটা তারা দেখে নেবে। এই টাকাটা আমরা আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেব।’
করোনা পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য প্রত্যেককে একটি করে ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ন🎃ে রাজ্য সরকার। ৩ ডিসেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ডেকেই এই ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন অনেকের কাছেই মোবাইল ফোন না থাকায় তাদের পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে। ট্যাবের মাধ্যমে বারো ক্লাসের ছেলেমেয়েরা অন্তত পড়াশোনাটা ফলো করতে পারবেন।’