কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশ রয়েছে যে সমস্ত বাণিজ্যিক গাড়ি যেগুলি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তায় রয়েছে সেগুলিকে বাতিল করে দিতে হয়। ২০০৮ সাল থেকে এই ধারাটা চলে আসছে। মূলত পরিবেশ দুষণ রুখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়🅠েছিল। 🧔পরিবেশ ঠিকঠাক রাখতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী।
এদিকে এবার অন্তত ৫০ শতাংশ বেসরকারি বাস কমে যেতে পারে কলকাতায়। কারণ কলকাতায় যত বাস চলে তার প্রায় অর্ধেক ১৫ বছরের বেশি পুরꦺনো হয়ে গিয়েছে। আর তার জে🍎রেই কলকাতায় সেই বাসগুলি চলতি বছরেই বাতিল করা হতে পারে। আর তার জেরে ব্যপক সমস্যা হতে পারে যাত্রীদের।
কারণ অনেকের কাছেই অফিস যাওয়ার জন্য অন্য়তম মাধ্য়ম হল বাস। মেট্রোতে থেকে নামার পরেও অনেকের কাছে অন্য়তম ভরসা হল বেসরকারি বাস। সেক্ষেত্রে বাসের 🅷সংখ্য়া কমে গেলে যে বাসগুলি পড়ে থাকবে সেখানে বাদুড়ঝোলা ভিড় হতে পারে। আর সেকথা ভাবতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে যাচ্ছে যাত্রীদের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এবছর ২৬টি নতুন বাস বেসরকারি ক্ষেত্রে কেনা হয়েছে। কিন্তু অর্ধেক বাস﷽ যদি কমে যায় তাহলে মহা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাত্রীর সংখ্যার তুলনায় বাসের সংখ্য়া ঝপ করে কমে যেতে পারে।
এদিকে কোভিডের সময় বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষ মারাত্মক সমস্যার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছিলেন। এরপর𒁏 অতিমারির সংকট কাটলেও বা🍷সের সংখ্যা যে বিরাট বেড়ে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে এসবের মধ্য়ে যদি বাসের সংখ্যা আচমকা কমে যায় তাহলে তো পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে।
পরিসংখ্যান বলছে কোভিডের আগে কলকাতার রাস্তায় অন্তত ৬০০০ বাস চলাচল করত। আর বর্তমানে ৩৫০০টি বেসরকারি বাস কলকাতায় চলাচল করে। এর উপর যদি বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমে যায় তাহলে আরও স☂মস্যায় পড়ে যাবেন সাধারণ যাত্রীরা।
কিন্𒁃তু পরিবেশ দূষণকে রুখে ಌদেওয়ার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিবেশ দূষণ বেড়ে গেলে সমস্যাও বাড়বে। সেকারণেই পুরনো বাস বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। না হলে দূষণ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা ও বেসরকারি বাস অপারেটররা। কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব সেটাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তবে বর্তমানে🐻 বহু জায়গায় মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারেন যাত্রীরা। এটাই রক্ষে!