একুশের নির্বাচনী যুদ্ধে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকী ꦿটুইটারে #বেঙ্গলিপ্রাইমমিনিস্টার ট্রেন্ড দেখা দেয়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন পেট্রোল–ডিজেলের দাম বৃদ্ধি রুটিনে পরিণত হয়েছে। তার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে গিয়েছে। তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বারাসতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘আমাদের মহান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যিনি একটা রাজ্যে বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন, তার মানে ত𒆙াঁর ততটাই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি একজন উপযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্র♑ধানমন্ত্রী করলেই তেলের দাম কমবে।’
বিজেপি এই বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্꧟রিয়া দিতে চায়নি। এখন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায় সলতে পাকাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা বড় জায়গায় পৌঁছে দিতে। তখন চিরঞ্জিতের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন বারাসতের বিধায়ক বলেন, ‘যদি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কন্যাশ্রী হয়, স্বাস্থ্যসাথী হয়, তাহলে তো সোনার ভারতবর্ষ হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী যাতে হতে পারেন, প্রথম ভারতবর্ষের বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন সেই চেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে।’
বিজেপিকে তুলোধনা করে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘আরও দাম বাড়বে। কারণ ওদের বিনামূল্যে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ওই টাকাটা আমাদের থেকে তুলে নেবে। পোস্ট অফিস তুলে দেবে ঠিক ಞকরেছে।’ উল্লেখ্য, এই মুহূর্🙈তে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে গোটা দেশের নজর কেড়েছেন মমতা। তাঁর জয়ে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে অ–বিজেপি দলগুলিও। সেখানে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তিনি দেশবাসীর আবেগকে উসকে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।