'জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবি জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রের জন্যে সেগুলি বাধ্যতামূলক শর্ত। এগুলি কোনও বিলাসিতার জাবি নয়।' এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের সাফ বক্তব্য, সরকার চাইলেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি পূরণ করতে পারে। এই আবহে অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের দিকে মমতাকে নজর দিতে বলেছে আইএমএ। চিঠিতে লেখা হয়ছে, 'সমগ্র ভারতের চিকিৎসকেরা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।' পাশাপাশি মমতার উদ্দেশে চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমরা সবাই বিশ্বাস করি, আপনি জুনিয়র ডাক্তারদের জীবন বাঁচাবেন। আইএমএ-র তরফে আমরা যে কোনও সহায়তা করতে প্রস্তুত।' (আরও পড়ুন: গভীর রাতে অবস্থার অবনতি🎀, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেতকে ✤ভরতি করা হল হাসপাতালে)
আজি কর আবহে দেড় মাসেরও ওপর কর্মবিরতি পালনের পরে কাজে ফিরেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে কাজে ফিরতে না ফিরতেই সাগর দত্ত হাসপাতাল সহ বহু জায়গায় ফের নিরপত্তার অভাবে ভুগতে থাকেন জুনিয়র ডক্তাররা। রোগীর পরিবারের হাতে নিগ্রহের শিকার হন তাঁরা। এই আবহে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনার পর সেই কর্মবিরতি প্রত্যহার কার হয়। তবে সর🥂কারের ওপরে চাপ বাড়িয়ে আমরণ অনশনে বসেন ৭ জুনিয়র ডাক্তার।
এদিকে আমরণ অনশনের আবহে এর আগে ষষ্ঠীর দিন বৈঠকের জন্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছিল সরকার෴। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই কোনও কোনও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কেঁদে ফেলেন। কেউ আবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তাই পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই বৈঠকটি। এবং বৈঠক শেষে 'ক্ষুব্ধ' জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁদের আমরণ অনশন জারি থাকবে। সেই মতো অনশন চললেও অনশনকারীদের শারীরি🌳ক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আর এরই মধ্যে অনিকেতকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে।
অনিকেত ছাড়াও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী♔ ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্🧸যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। উল্লেখ্য, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থেকে স্বাস্থ্যচিবের অপসারণ সহ মোট ১০ দফা দাবিতে এই দফায় আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দরা। এরপর সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি এখন পেশ করে🀅ছেন, তা হল - নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে হবে, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতাগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, হুমকি সংস্কৃত🌞ির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।