রবিবার অম্বেডকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রেড রোডে এক জনসভার আয়োজন করে বিজেপি। আর সেখান থেকেই অম্বেডকরের সংবিধান প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাইপো’ নামে ফের আক্রমণ করলেন বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, ‘সারা দেশ বাবাসাহেব অম্বেডকরের সংবিধান মেনে চলে। কিন্তꦡু পশ্চিমবঙ্গে শুধু ভাইপোর সংবিধান চলে।’
এদিনও ‘ভাইপো’–র নামে সোনা পাচারকারী, গরু চোর, বালি চোরের তকমা এঁটে দিলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুখে আনেননি কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি এদিন বলেন, ‘বাংলায় গরু চোর, বালি চোর কে সেটা সকল মানুষ জানে। আমি কিন্তু কারও নাম বলিনি।’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘ভাইপোর চশমার দাম ২৫ লাখ। জুতো পরেন ৭৫ হাজার টাকার। আর দিদির জুতোর দাম মাত্র ৭৫ টাকা। কুর্সিতে ꦛদিদি বসে থাকলেও রাজ্য চ🤡ালাচ্ছে ভাইপো।’
গত রবিবারই অভিষেক ডায়মন্ড হারবারের সভায় বলেছিলেন, ‘শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম, কংগ্রেসেরও আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ‘ভাইপো’ শব্দটি। কিন্তু কেউ নাম নিতে পারে না। নাম নিয়ে বলতে পারে না— অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বুকের পাটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও নেই। আর বিজেপি–র ছোট, বড়, মাঝারি নেতাদেরও নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ–সহ বিজেপি নেতারা অভিষেকের নাম সরাসরি না নিয়ে ‘ভা𒁃ইপো’ বলেই কটাক্ষ করেন। সেদিনের সভায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন অভিষেক।
এদিন রেড রোডের সভা থেকে ফের এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন কৈলাস ব🌳িজয়বর্গীয়। মঞ্চে তফসিলি জাতি ও মতুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘ধর্মান্তরণের জেরে যাঁরা এখানে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধিতা করছে তৃণমূল। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধ𒁏নী আইন চালু করবে বিজেপি।’ এদিন একই কথা শোনা যায় বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের মুখেও।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরও জানান,ꦓ বিজেপি–তে আসার পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ৪৫টি মামলা। সেই মুকুল রায় এদিনের সভায় বলেন, ‘বাংলায় ২০০–র বেশি আসন পাবে বিজেপি। যদি না হয় তা হলে বিজেপি–র কোনও রাজনৈতিক মূল্যই থাকবে না।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘বিরোধীদের কোনও সম্মানই নেই বাংলায়। তাঁদের দমন করার চেষ্টা চলছে। বাংলা–কে বাঁচাতে গিয়ে ১২০ জনের ওপর বিজেপি নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন।’