ধারা অব্যাহত। যে র্যাগিং কাণ্ডের জন্য একজন প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে আবার অভিযোগ উঠল। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। আবারও একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অক্টোবর মাসে আরও দু’টি র্যাগিংয়ের ঘটনার অভিযোগ উঠল। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, এই ঘটনা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের মিটিং ꧂ডাকতে চে♏য়েছিলেন ওই স্কোয়াডের চেয়ারম্যান ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সন্ময় কর্মকার। তবে পদক্ষেপ না করার জেরে ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিলেন অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান। উপাচার্যকে চিঠিও দিলেন।
এদিকে এই র্যাগিংয়ের ঘটনা হস্টেলে ঘটেনি। এবার এই ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদবপুর এবং সল্টলেক ক্যাম্পাসে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান। উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে তাঁর প্রশ্ন, ‘র্যাগিং নিয়ে কেন বৈঠক ডাকা হচ্ছে না? তাহলে আমার থাকার দরকার কী?’ এরপরও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। সূত্রের খবর, এই দুই ঘটনার একটি ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন ক🍬্যাম্পাসে অর্থনীতি বিভাগের এক পড়ুয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয়টি ঘটেছে সল্টলেক ক্যাম্পাসে। এই নিয়ে আবার চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাꦬন্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে গত ১৩ অক্টোবর দুটো অভিযোগ আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্য়াপকই অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান। তিনি এই ঘটনা শুনে উপাচার্যকে চিঠিতে লিখেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৈঠক ডাকার কথা পর্যন্ত তাতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বৈঠক ডাকা হচ্ছে না। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে নিজেই ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। এটা নিয়েই এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য কোনও মন্তব্য করতে যাননি।
আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায় সরণি হবে কলকাতার রাজপথে, ঘোষণা করলেন 🐻মুখ্যমন্ত্রী
আর কী জানা যাচ্ছে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় নদিয়ার তরুণের। বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে হস্টেলে এসেছিল। কিন্তু র্যাগিং সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। যার জেরে এখন ১৩ জন জেলের ভিতরে রয়েছে। নৃশংসভাবে ওই ছাত্রকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। যাদবপুর ღবিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তনী ও সিনিয়র ছাত্রের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু তারপরও র্যাগিং থামানো যাচ্ছে না।