যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মে হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর পর থেকেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর দাবি তুলতে শুরু করে তৃণমূল ও বিজেপি। এদিকে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসও সিসিটিভি বসানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর নির্দেশে নিযুক্ত হয়েছেন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সিসিটিভি বসানো নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি। আর এই আবহে ই📖ঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সংসদ ফেটসু এবং কলা বিভাগের সংসদ আফসু-র সঙ্গে গতকাল কথা কাটাকাটি হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ফেটসু-র সদস্যরা। উপাচার্যের ঘরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই ফেটসু-র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই কীভাবে ♔সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। এরপর পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উপাচার্যের। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময় রেগে গিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান উচাপার্য। সেই সময় কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ আফসু-র সদস্যরা আবার ঘিরে ধরেন উপাচার্যকে। আফসু-র সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উপাচার্যের। উপাচার্যের ঘরের বাইরে বসে পড়েন পড়ুয়ারা। পরে নিজের ঘরে চল🐠ে যান উপাচার্য। তখন তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা করেন আফসু-র সদস্যরা।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর আবহে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পোক্ত করতে আচার্য বোস চিঠি লিখে সাহায্য চেয়েছিলেন ইসরোর থেকে। গত ২৪ অগস্ট রাতে রাজভবনের তরফে এক বিবৃকি প্রকাশ করে জানানো হয়, ব়্যাগিং প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়ে ইসরো প্রধান এস সোমনাথকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, ইমেজ ম্যাচিং, অটো রেকগনিশন এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব়্যাগিং প্রিরোধকারী একটি ব্যবস্থা চেয়েছেন আচার্য বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্যকে এই বিষয়ে ইসরোর সঙ্গে আলোচনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। উপাচার্য সেই মতো ইসরোর সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে তিনি জানান, শীঘ্⛦রই ইসরোর একটি বিশেষজ্ঞ দল ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলের ১০টি জায়গায় আপাতত বসানো হবে সিসিটিভি। এর জন্য এক সংস্থাকে ২৬টি সিসি ক্যামেরার বরাত দেওয়া হয়েছে। তবে এতে নাখুশ ফেটসু এবং আফসু-র সদস্যরা। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স꧒ব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।