মালগাড়ির চালকের ভুল নয়, ট্রেন পরিচালনার পদ্ধতিগত কারণেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনার জন্য রেল বোর্ডকেই কাঠগড়ায় তুলেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। মঙ্গলবার পেশ করা রিপোর্টে যার জেরে অস্বস্ত✨ি বেড়েছে রেলেরই।
আরও পড়ুন - ‘কেষ্ট তো জেলে! আমরা জিতলাম? ইডি-সিবিআই দিয়ে জেতা যাবে না,🤡’ হুঁশ ফেরাল��েন সুকান্ত
পড়তে থাকুন - কুলত🎐লিতে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল গোপন সুড়ঙ্গ, মিশেছে খালে! হতবাক পুলিশ
গত ১৭ জুন শিলিগুড়ির রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। যার জেরে মৃত্যু হয় ১১ জনের। সেইꦦ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রেল বোর্ডের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালক। যাদের ২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পরে জানা যায়, মালগাড়ির ♔সহকারী চালক জীবিত।
সেই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক – ট্রেন ম্যানেজারসহ প্রায় ২ ডজন রেকলর্মীকে জেরা করেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে তার তদন্ত রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক নি🍃য়ম মেনে ট🌠্রেন চালানোতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রিপোর্টে উঠে এসেছে, ঘটনার দিন সকাল ৫টা ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি স্টেশনের পর থেকে অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ ছিল। যার ফলে পেপার সিগন্যালে চলছিল ট্রেন। দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত পেপার সিগন্যালে লাইনের ওই অংশ পার করেছে ৮টি ট্রেন ও মালগাড়ি। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক ছাড়া কেউই পেপার সিগন্যালে ট্রেন চালানো♛র নিয়ম মানেননি। নিয়ম অনুসারে পেপার সিগন্যালে ট্রেন ঘণ্টায় ১৫ কিমি বেগে চালাতে হয়। প্রতিটি সিগন্যালে ১ মিনিট করে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু বাকি ৭টি ট্রেন কোনও নিয়মই মানেনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়িটি রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ার পর ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। পরে বিপদ বুঝে ব্রেক কষেন চালক। সংঘর্ষের সময় মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিমি। এর আগে যে ট্রেনগুলি পেপার সিগন্যালে রাঙাপানি স্টেশন পার করেছে তাদেরও একই রকম গতি ছিল।
আরও পড়ুন - চলতি সপ্তাহ থেকে পোলট্রি মুরগি আসবে না বাজারে,পুলিশের জুলুম, আন্দোলনে ব্যবসায়ী🍰রা
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পেপাඣর সিগন্যালে ট্রেন চালানোর নিয়ম জানা ছিল না এই ট্রেনগুলির চালকদের। একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালকই নিয়ম জানতেন ও তা মেনেছিলেন। রেলের প্রশিক্ষণের ত্রুটিতেই এমনটা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে অধিকাংশ ট্রেনের ট্রেন ম্যানেজারের কাছে ওয়াকি টকির মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নেই। ফলে কোনও ট্রেন অতিরিক্ত গতিতে ছুটলেও গেটম্যান বা স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষে ট্রেনের চালককে সতর্ক করা সম্ভব নয়।