মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়ে গেল কেষ্টপুর এলাকায়। আজ, সোমবার ঐকতান অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলায় মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এটা কি খুন? নাকি আত্মহত্যা? গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। এলাক🦹ার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার কাজ শুরু হয়েছে। বিধাননগরের কেষ্টপুরে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। বাড়িতে কেউ ছিল কিনা সেটা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ 𓃲করা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে কেষ্টপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন মা গোপা দাস এবং মেয়ে সুদেষ্ণা দাস। গোপার দাদাও এই ফ্ল্যাটে থাকতেন। যদিও তিনি এদিন বাড়িতে ছিলেন না। মেয়ে সুদেষ্ণা রায় এবং মা গোপা রায় তার দাদার সঙ্গে ঐকতান ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। কি কারণে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। গেটের তালা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মেয়ের মামা সকালে তাঁদের একাধিকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি পাননি। তখ🦂ন তিনি ওখানের নিরাপত্তারক্ষীকে ফোন করে ওদের খবর দিতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষী খবর দিতে গিয়েই এই ঘটনা দেখতে পান।
আর কী জানা যাচ্ছে? এরপর খবর পেয়ে মেয়ের মামা সোমবার সকালে ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন। এসে এই অবস্থায় দেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখতে পান। নিজের বোন এবং বোনঝির দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে দেখে তিনি পুলিশে খবর দেন। দাদা গৌতম দে বিধাননগর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। গতকাল রবিবার তিনি তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন মা ও মেয়ে দু’জনেই মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশ তাঁর সঙ্গ꧟েও কথা বলছে। কোথাও একটা মিসিং লিঙ্ক আছে বলে পুဣলিশ মনে করছে।
পুওলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল থেকেই গোপা–সুদেষ্ণাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না ম🐷ামা। তিনিই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে বলেন। প্রতিবেশীরা গিয়েই দেখেন, মা–মেয়ের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দু’জনের দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মা–মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য ঘটনা আছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আত্মহত্যা করে থাকলে কেন করেছেন? সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।