বুধবার নবান্ন সভাগৃহ থেকে কেএলও প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘জলপাইগুড়ির ল অ্য়ান্ড অর্ডারটা দেখতে হবে। তোমাদের আইবি ঠিক অ্যাকটিভ নয়। উপস্থিত পুলিশ কর্তাকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন,𝔍 তোমাদের বর্ডার আর আলিপুরদুয়ারের বর্ডার আছে। পাশে অসম আছে। এরপরই কেএলওদের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। মমতা বলেন, কেএলও'র সবকটাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।তাতেও দুএকজন বড় কথা বলছে। চিফ মিনিস্টারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। বাপরে বাপ! কত লম্বা ল্যাজ। কেউ কেউ ওখানে গিয়ে তরাই ডুয়ার্স চাইছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বসে। এগুলো নজর রাখতে তোমরা। ডিজিকেও বলব। তরাই ডুয়ার্স চাই। বসে থাকুক হ🀅াঁ করে। বাংলা বাংলাতেই থাকবে। জলপাইগুড়িকে থানাগুলিকে আরও এফেক্টিভ হতে হবে।’ সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সেই বাম জমানাতেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হত কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন(KLO)। তাদের আন্দোলনে বার বার রক্তাক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। সেই দাবি থেকে এখনও তারা পুরোপুরি সরে আসেনি। তবে পরবর্তী সময়ে কেএলওদের একাংশ জঙ্গি জীবন ত্যাগ করে পুলিশ, প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করা শুরু করেন। তাদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজও ঘোষণা করে সরকার। কেএলওদের একাংশের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে প্রাক্তন কেএলওদের একাংশের দাবি, তাঁদের বঞ্চিত করেছে সরকার। এমনকী কাজ না দিলে ফের জঙ্গি জীবনে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন কয়েকজন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে চান তাঁদের একাংশ। তবে এবার কেএলও প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে ൲সংগঠনের চিফ জীবন সিংহ অন্তরাল থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেন কি না সেটাই এখন দেখার।