🤪 মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন মেয়র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এবার ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার বাজেটে বাংলার মানুষের মাথার ছাদের উপর জোর দিলেন। রাজ্য বাজেটে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার বাজেটেও এবার ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে। গ্রামবাংলার মানুষ তো ইতিমধ্যেই অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে গিয়েছেন। আবার পাবেনও। সেখানে ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করতে শহর কলকাতার ১৬টি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। একইরকমভাবে বাজেটে বাড়ানো হয়েছে বোরো ফান্ড। ২৫ লক্ষ থেকে একলাফে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বোরো ফান্ডে। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার বাজেট পেশ করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ২ থেকে ৩ কাঠা জমির উপর বাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে অনুমোদন ফি ৫০ শতাংশ কমানো হল। তাতে অবশ্য খুশি মধ্যবিত্ত।
♏এদিকে বিল্ডিং স্যাংশন ফি আগে যা দিতে হতো তার থেকে অর্ধেক করে দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে বাসিন্দারা। আজকের বাজেটে কাউন্সিলরদের জন্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বেড়ে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তার সঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে বোরো ফান্ডও। আগে সেটা ছিল ২৫ লক্ষ। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ লক্ষ। তবে এটা যাঁরা নিজেরা বাড়ি তৈরি করবেন তাঁদের জন্য। আর কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে ‘বাংলার বাড়ি’ গড়ে তোলা হবে মধ্যবিত্তের জন্য। তবে কলকাতা পুরসভার ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষের বাজেট গতবারের তুলনায় ১১২ কোটি ঘাটতিকে ছাপিয়ে ১১৪.৭২ কোটি টাকায় দাঁড়াল। যা প্রায় ২.৭২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ঘাটতি।
আরও পড়ুন: ‘দু’টো চা–ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করা হবে উত্তরবঙ্গে’, নবান্নের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা মলয়ের
অন্যদিকে কলকাতার কোথায় হবে ‘বাংলার বাড়ি’? এই প্রশ্ন এখন শহরের বাসিন্দাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মোট ১৬টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে—জে কে ঘোষ রোড, রসগোল্লা পট্টি, ওয়ার্ড নম্বর–৩, বোরো–১, অরফ্যানগঞ্জ বাজারের কাছে ওয়ার্ড༒ নম্বর ৭৪, বোরো নম্বর ৯, লালবাগান রোড, ওয়ার্ড নম্বর ১৫, বোরো নম্বর–২, রতনবাবু ঘাটের কাছে ওয়ার্ড নম্বর–১, বোরো নম্বর–১, উপেন্দ্রচন্দ্র ব্যানার্জি রোড, ওয়ার্ড নম্বর–৩০, বোরো নম্বর–৩, ক্যানাল ইস্ট রোড, ওয়ার্ড নম্বর–১৩, বোরো নম্বর ৩, জাজেস কোর্ট রোড, ওয়ার্ড নম্বর–৭৪, বোরো নম্বর–৯, শশী শেখর ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে ওয়ার্ড নম্বর ৭৩, বোরো নম্বর ৯, গায়ত্রী ঘাট, ওয়ার্ড নম্বর–৭১, বোরো নম্বর–৯, চিত্তরঞ্জন কলোনী, ওয়ার্ড নম্বর ১০২, বোরো নম্বর–১২, হেমচন্দ্র নস্কর রোড, ওয়ার্ড নম্বর ৩৪, বোরো নম্বর ৩, বাগমারি রোড, হরিজন বস্তি, ওয়ার্ড নম্বর ৩২, বোরো নম্বর ৩, দিলারজং রোড, লকগেট ব্রিজের কাছে ওয়ার্ড নম্বর ৬, বোরো নম্বর ১, চারুর মাঠ মুখার্জি পাড়া, ওয়ার্ড নম্বর ৮৩, বোরো নম্বর ৮, রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, ওয়ার্ড নম্বর ৫১, বোরো নম্বর ৬ এবং কেওড়াপুকুর সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পার্শ্ববর্তী এলাকা, ওয়ার্ড নম্বর ১২৩, বোরো নম্বর ১৬।
এছাড়া আজ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয়। তারপরই শোকপ্রস্তাব পেশ করেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। তিনি দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পুরসভার বাজেটের সময় ১ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। কারণ সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রথম দিনের বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আগামী মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন স্থগিত রাখার ঘোষণা করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।