কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি। বহু কাউন্সিলরই এখন আতঙ্কিত হয়ে রয়🅺েছেন। কারণ কোন বুলেটে কার নাম লেখা রয়েছে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। সুশান্ত ঘোষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তবে তা স্রেফ কপালের জোরে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাঁকে সমর্থন করেন সাংসদ সৌগত রা🐟য়। কিন্তু তাতেও কাউন্সিলরদের আতঙ্ক কাটছে না।
এখন কলকাতা পুরসভায় কান পাতলে কাউন্সিলরদের আতঙ্কের কথা শুনতে পাওয়া যাবে। আবার সেই সঙ্গে উঠে আসছে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলা হওয়ার ঘটনার কথা। খাস কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিಌয়ে বেলেঘাটার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার তথা বরো চেয়ারম্যান জীবন সাহা বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে আমাদের কারও না কারও পক্ষ নিতে হয়। কখন কার রোষে পড়ে যাব জ𓆉ানা নেই’। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক কাউন্সিলরের বক্তব্য, ‘এখন তো পাঁচ হাজার টাকার জন্য মানুষকে খুন করে দিচ্ছে। আমাদের রাস্তায় নেমে কাজ করতে হয়। তাই আশঙ্কা তো থাকছেই।’
আরও পড়ুন: কেইআইপি’কে ডেডলাইন দিয়ে দিলেন মেয়র, বৈঠকে থাকল ব্ল্যাকলিস্ট করার হুঁশিয়ারি
কসবায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের নাকের সামনে ভরসন্ধ্যায় পিস্তল উঁচিয়ে ধরার ঘটনা কেউ ভুলতে পারছেন না। তার উপর কলকাতা পুলিশ তদন্তে নেমে নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আনছে। কখনও পাপ্পু যোগ, কখনও আবার মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসা, সুপারি কিলার নিয়োগ, পাঁচ মাসে তিনবার হত্যার ছক–সহ নানা তথ্য উঠে আসছে। আর তাতেই আতঙ্কে ভুগছেন অন্যান্য কাউন্সিলররা। এই ঘটনা নিয়ে বেশ ঘাবড়ে রয়েছেন কাউন্সিলাররা। আর 🌳তা একান্ত আলাপচারিতায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার আলোচনা করছেন। কেউ কেউ পুলিশের নিরাপত্তার জন্য মেয়রের কাছে দরবারও করেছেন বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় মেয়র এমনিতেই বিরক্ত। তবে সুশান্ত ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ মেয়র। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘যাঁদের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের জন্য পুলিশ আলাদা বন্দোবস্ত করবে। এতজন কাউন্সিলর। সবাইকে তো সিকিউরিটি দেওয়া সম্ভব হয় না। হাতেগোনা যে কয়েকজন কাউন্সিলর সিকিউরিটি পান, তাঁদের মধ্যে জীবনের দু’জন পার্সোনাল গার্ড রয়েছে। তার পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তিনি।’ তবে বেসুরো শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরের গলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সামসুজ্জমান আনসারির কথায়, ‘আমি যদি কারও জমি–ফ্ল্যাট দখল না করি, কারও সঙ্গে বেইমানি না করি, তাহলে লোকে আমাকে কেন মারতে আসবে?’ সুশান্তর ঠিক পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমি তো তেমন কিছু করিনি যে আমার সিকিউরিটি লাগবে। 🧔আমি মানুষের কাজ করি। তারাই আমার সিকিউরিটি।’