ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। সেখানে বসে কাজ করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বারবার বেরতে হচ্ছিল কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনারকে। কি হয়েছে বুঝতে না পেরে সহকর্মীদের সঙ্গে অন্য ঘরে গিয়ে বসে কাজ করছেন। কিন্তু ফাইল বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে বারবার কলকাতা পুরসভার নির্দিষ্ট করা তাঁর আগের ঘরেই আসতে হচ্ছিল। আর তখন নাকে প্রবেশ করছিল ওই দুর্গন্ধ। দৌড়ে পালাতে হচ্ছিল তাঁকে। এমনকী এই দুর্গন্ধ নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল কলকাতা পু💖রসভার যুগ্🦩ম কমিশনারের ঘরে।
এদিকে কিছুদিন আগে কলকাতা পুরসভার কম্পিউটারের তার কেটে বিপত্তি তৈরি করে মূষিকের দল। এবার সেখানেই ইঁদুর মরে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে খবর। আর তার জেরে নিজের ঘরেই বসতে পারছেন না কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতি। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় এখন পাশের ঘরে কর্মীদের চেয়ারে বসে কাজকর্ম সারছেন এই অফিসার। দুর্গন্ধের জেরে নানা দফতরের অফিসার এবং কর্মীরা আতঙ্কে যুগ্ম কমিশনারের ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন। জ𝓡্যোতির্ময়বাবু কিছুক্ষণের জন্য বসে আবার ছুটে চলে যাচ্ছেন বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। আর ওই সময়ে বসার জন্য দরজা খুলে এসি চালিয়ে রাখছেন।
আরও পড়ুন: ‘হরে কৃষ্ণ, জয় গৌরাঙ্গ’, বলে প্রধানমন্ত্রী সভা শুরু ক꧒রলেও ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূলকে
অন্যদ𓂃িকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বুধবার সকালে অফিসে ঢুকে নিজের ঘরে বসতেই নাকে আসে দুর্গন্ধ। এই দুর্গন্ধ নিয়ে জোর্তিময় তাঁতি সহকর্মীদের জানান। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে কেউ তেমন কিছু বুঝতে পারেননি। তবে এই দুর্গন্ধ সহ্য করে বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারেননি যুগ্ম কমিশনার। সেখান থেকে সটান দৌড়ে পৌঁছে যান সহকর্মীদের কাছে। সেখানে বসেই কাজ করতে থাকেন। এই পরিস্থিতি দেখে তাঁর দফতরের কর্মীরা পুরসভার সচিবালয়ে খবর দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং কেয়ারটেকার। তাঁরা এসে নানা স্প্রে প্রয়োগ করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভই হয়নি। উল্টে শুক্রবার দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি পরিবর্তন না হওয়ায় জ্যোতির্ময়বাবু বিষয়টি তলিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। কারণ এই ঘরটি একবছর আগেই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ফল্স সিলিং। তাহলে এখান থেকে কেন দুর্গন্ধ বের হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। এবার খতিয়ে দেখতে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। তাঁরাই জানান, বৃহস্পতিবার ওই ঘরের ফল্স সিলিং ভেঙে তার উপরে একটি মরা ইঁদুর মিলেছে। তা থেকেই দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। বিষয়টি জানানো হয় যুগ্ম কমিশনারকে। এই বিষয়ে যুগ্ম পুর কমিশনার বলেন, ‘আরও ইঁদুর হয়তো অন্য কোথাও মরে পড়ে আছ♌ে। সেটা না হলে এত স্প্রে করেও দুর্গন্ধ ঠেকানো গেল না!’