খাস কলকাতায় ভরসন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা নিয়ে এখন খোদ কলকাতা🔯র পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা তদন্ত শুরু করেছেন। কসবায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের বাড়ি রাজডাঙার চক্রবর্তী পাড়ায়। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ি কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই বাড়ির সামনেই শুক্রবার স্কুটি করে আসে সুপারি কিলার। স্কুটি থেকে নেমেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সুশান্তবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। যদিও বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় গুলি বের হয়নি। প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত ঘোষ। আজ, শনিবার কলকাতা পুলিশকে কড়া বার্তা দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ওই আততায়ীকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে যার স্কুটিতে করে আততায়ী এসেছিল সে পলাতক। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘অ্যাক্ট নাও। এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা। পুলিশকে বলব, অ্যাক্ট নাও। পুলিশ কোথায়? সুশান্তের পরিবারের পাশে আমি আছি। রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে কীভাবে?’ ফিরহাদে🦹র এই ক্ষোভে এখন তোলপাড় লালবাজার। কারণ ফিরহাদ হাকিম সিনিয়র মন্ত্রী। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পাহাড়ের বুক চিরে ছুটবে টয়ট্রেন, সুখবরের প্রহর গুনছেন পর্যটকরা
আজ শনিবার কলকাতা পুরসভায় বসেই সোচ্চার হন মহানাগরিক। তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সেটা তাঁর মন্তব্যে উঠে আসে। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বলেছে আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতীদের আটকাতে। কিন্তু তবুও আটকানো যাচ্ছে না। অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও কেন অস্ত্র ঢুকছে? পুলিশের ইন্টেলিজেন্স কোথায়? ডু ইট নাও। একটু পরেই আমি সুশান্ত ঘোষের বাড়িতে যাব। সকালে আমার সঙ্গে ওঁর ফোনে কথা হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। এটা উত্তরপ্রদেশ বা আমেদাবাদ নয়। সব জায়গায় দেখছি অন্য রাজ্যের দুষ্কৃতীরা বাংলায় ঢুকে এসব করছে। বারবার মুখ্যমন্ত্র💛ী বলছেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। বাংলায় ঢোকার আগে কেন অস্ত্র ধরা পড়ছে না? পুলিশকে ইমিডিয়েট অ্যাকশন নিতে হবে।’
সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনাকে বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে চালিয়ে দিয়েছে। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন মেয়র। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘পুলিশকে বলছি, দ্রুত গ্রেফতার করো। আমি চাই, কোনও অপরাধী থাকবে না। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দুষ্কৃতী আটকানোর কথা পুলিশের। আমার কাজ পুর পরিষেবা দেওয়ꦰা। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। মরতে ভয় পাই না। কিন্তু হোয়ার ইজ দ্য নেটওয়ার্ক। মুঙ্গের থেকে আর্মস আসছে। আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী। এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এখানে কিছু হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সবার আগে আসে। বিজেপির কেউ মরলেই ওরা বলে তৃণমূল মেরেছে। আর তৃণমূলের কারও কিছু হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাꦜ বলা হয়। যেই করে থাকুক না কেন দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।’