সম্প্রতি কলকাতার হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মালিকরা। প্রথমে সিঙ্গেল বে♔ঞ্চ হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশের বিপক্ষে রায় দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে বহাল রাখে। সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের বক্তব্য, রাজ্যে এই ধরনের কোনও নিয়ম নেই। তাই হুক্কাবার বন্ধ করতে গেলে আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে। হাইকোর্টের দেখানো পথ ধরেই এবার 💖হুক্কা বার বন্ধের জন্য আইন সংশোধন করতে চলেছে পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম একথা জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি মনে করি যুবকদের🐎 হুক্কা বারে আসক্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য আমার একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা এই ধরনের বার নিষিদ্ধ করার জন্য পুরসভার আইন সংশোধন করতে পারি।’ এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন, যেহেতু হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের কোনও আইন নেই তাই হুক্কা বার চলতে পারে। এই আইন রয়েছে কেন্দ্রে। রাজ্যে হুক্কা বার বন্ধ করতে গেলে নতুন করে আইন প্রণয়ন করে বন্ধ করতে হবে। পরে গত মঙ্গলবার হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে কলকাতা পুরসভা। শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের আর্জি জানায় পুরসভা। তবে মালিক পক্ষের আইনজীবী মেঘলা দাস জানান, হুক্কা বার বন্ধেরꦆ কোনও আইন এরাজ্যে নেই। তাই এখানে এভাবে হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, হুক্কা বা▨রের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহার করা হচ্ছে। মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। তাই হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুক্কা বারে যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। এরপরেই শুরু হয় ধরপাকড়।
মালিক পক্ষের দাবি, ২০০৩ সালে ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে 🎃হুক্কা বারগুলি চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও রায় রয়েছে🧔। পুরসভা এভাবে হুক্কা বার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাঁদের দাবি, হুক্কায় ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পুরসভা সিদ্ধান্ত বদল না করলে হাজারের বেশি রেস্তরাঁর ব্যবসা মার খাবে। বহু মানুষ কাজ হারাবেন। ৬ সপ্তাহ পর ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT Ap♓p ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup