বর্তমান করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১ অনুষ্ঠিত করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না। বইমেলার পরবর্তী তারিখ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই জানিয়ে দেওয়া হবে— মঙ্গলবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের বর্ধিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া ꦛহয়েছে। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর 🏅পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের একটি সভা হয়। সেখানেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আপাতত কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া হবে ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমে🐬লা। তবে এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথা জানানো হল। সাম্প্রতিককালে সল্টলেকে করুণাময়ী মোড়ের কাছে আয়োজন করা হচ্ছিল বইমেলার। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানিয়েছেন, সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে বইমেলাকে ঘিরে বিধাননগরে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করুন তা একেবারেই চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার মেনে জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ পর্যন্ত বইমেলা হওয়ার কথা ছিল। এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলার থিম করা হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে আপাতত ২০২১–এর কলকাতা বইমেলার জন্য বেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বইপ্রেমী মানুষদের। পুরোটাই নির্ভর করছে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে ♏আসা ও মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমার ওপর। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সে রকম হলে এ বছর নাও হতে পারে কলকাতা বইমেলা।
এর আগে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন–মরণের প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে এত বড় উৎসব করা উচিত হবে না। মেলা প্রাঙ্গনে এককালীন ১০০ জন করে প্রবেশ করানো বা ৭৫০ স্টলের মধ্যে কোনও স্টলের ভেতরে লꦺোকজন ঢুকতে পারবে না, সেলফি নিতে পারবে ন꧅া— এ সব করা সম্ভব নয়, অবাস্তব।’ একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সমস্ত আন্তর্জাতিক বইমেলা যেমন লন্ডন বইমেলা ইতিমধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে।