ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ধেয়ে আসছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। কলকাতা–সহ উপকূলবর্তী এলাকায় তার প্রভাব পড়বে। বেশি প্রভাব পড়বে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। আমফানের তাণ্ডব থেকেꦑ শিক্ষা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই এবার ইয়াসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং তার জেরে সম্ভবত ঘূর্নিঝড় নিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখতে বৃহস্পতিবার নগরপাল সৌমেন মিত্রের নেতৃত্বে বৈঠক হয় লালবাজারে। সেখানে কলকাতার সব থানার ওসি ও ডিসিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তারপর একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে।
এদিন থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়—পুরসভা, দমকল, সিইএসসি, বিপর্যয় মোকাবিলা–সহ প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে। একইসঙ্গ🐓ে থানায় রাখতে হবে রেইন জ্যাকেট, গামবুট, করাত, ইলেকট্রিক করাত, হেলমেট–সহ সবরকম জরুরি সরঞ্জাম। পাশাপাশি প্রত্যেক থানা এলাকায় সরকারি–বেসরকারি, কোভিড, নন–কোভিড হাসপাতাল আছে, সেখানে জেনারেটর ও অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে।
থানাগুলিকে ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে আরও বলা হয়, এলাকার পুরনো বাড়ির বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলতে হবে। সিইএসসি বা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগ, দুই সংস্থাকে বলতে হবে তারা যেন পর্🎃যাপ্ত সংখ্যক কর্মী আগাম প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা করে। আমফানের সময় কর্মীর অভাবে গোটা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল।
আর ঝড়–বৃষ্টিতে রাস্তার ম্যানহোল পরিষ্কার করে রাখতে হবে। যাতে জল দ্রুত নামতে পারে। না হলে প্লাবনের অবস্থা তৈরি হবে। প্রয়োজনে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোথাও যাতে বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের তার বেরিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।🎐 পুরসভার ট্রাকগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে যাতে দ্রুত ভাঙা গাছ সরিয়ে ফেলা যায়। না হলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।