৩৬ ঘণ্টা 🍨ডিউটি। তার মাঝেই সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন তরু💜ণী চিকিৎসক। ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে?
সূত্রের খবর, ওই রাতে সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যে সমস্ত চিকিৎসকরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁরাও ছিলেন সেমিনার হলে। অনলাইনে খাবারও নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই খাবার অন্যান্য চিকিৎসকরা মিলে খান। এমনকী সেমিনার হলে বসে অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়ার ম্যাচও দেখেন তারা। খেতেই খেতেই পাঁচজন মিলে ম্যাচ দেখেন তাঁরা। এরপর সেমিনার হলের বিছানাতেই শুয়ে পড়েন ওই তরুণী চিকিৎসক। সারাদিন রাতের ডিউটি করে ক্লান্ত, অবসন্ন। লাল রঙের একটা কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলꦍেন তিনি।
এদিকে রাত তিনটে পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপরই সেই ঘটনা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। সকালে উদ্ধার করা হয়েছিল দেহ। রক্তের দাগ। ম্যাট্রেসে ছেঁড়া চুল পড়েছিল। সারা শরীরে আঁচড়ের দাগ। গলার হাড় ভাঙা অবস্থায় ছিল। অর্ধনগ্ন দেহটা পড়েছিল। পড়েছিল ভাঙা চশমা। যৌনাঙ্গে ꦓআঘাতের চিহ্ন। পোশাক ল্যাপটপ, ব্যাগ মিলেছে।
ভয়াবহ অত্য়াচার চালানো হয়েছিল। গোটা শরীর জুড়ে তার চিহ্ন। অনেক স্বপ্ন দেখতেন বাবা মা। সব শেষ হয়ে গেল। অত্যন্ত মেধাবীꦺ ছাত্রী ছিলেন তিনি। সব শেষ হয়ে গেল।
আবার রাত আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্য়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে। চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া যায় সেমিনার হলে। আরও দু তিনজনকে দেখা গিয়েছিল কিন্তু তারা সবাই রোগীর আত্মীয়। তাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। কিন্তু কোনও অসংগ🥃তি মেলেনি। তবে সঞ্জয় কেন এত রাতে?&nb♈sp;
এদিকে ওই চিকিৎসকের দেহের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একটি ব্লু টুথ হেডফোন। সেটা কার? তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সঞ্জয় যখন সেমিনার হলে ঢুকছে তখন তার কানে ব্লুটুথের হেডফোন। আর যখন বের হচ্ছে তখন নেই। এরপর সঞ্জয়কে তুলে আনে পুলিশ। জেরা শুরু হয়। তার আগে ফোনটি নিয়ে নেয় পুলিশ। সেটা খুলতেই দꦯেখা যায় প্রচুর পর্ন ভিডিয়ো। তখনও মদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি। মদ্যপ অবস্থাতেই হাসপাতালে গিয়েছিল সে। এরপর পুলিশ সেই ব্লু টুথ কানেক্ট করতেই সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে এই হেডফোন যু💛ক্ত বলে জানা যায়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।