কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বেআইনিভাবে জমি দখলের ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও লেগে রয়েছে। এই অবস্থায় জমি দখল নিয়ে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়ে দিয়েছিলেন হাই পাওয়ার কমিটꦍি। তারপরেই নড়েচড়ে বসল 🌱কলকাতা পুলিশ। লালবাজারে তরফে সমস্ত থানাকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেআইনি জমি দখলের কোনও অভিযোগ পেলে এফআইআর করতে হবে পুলিশকে।
আরও পড়ুন: বন্দরের জমি জবরদখল করে গজিয়ে উ♓ঠেছে বাসস্ট্যান্ড, কড়া ব্যবস্থা নেবে ꦉকর্তৃপক্ষ
লালবাজার সূত্রের খবর, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই লালবাজারের কর্তারা ডিসিদের নিয়ে বৈ💜ঠক করেন। সেই বৈঠকেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, কোথায় বেআইনিভাবে কতটা জমি দখল হয়েছে? বা কতজন বেআইনিভাবে জমি দখল করেছে? তার সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিটি ডিভিশনের সব থানাকে এই মর্মে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কেউ বেআইনি জমি দখলের অভিযোগ জানালে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীর নথিপত্র এবং কাগজ মিলিয়ে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে 🎃বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা, রাজারহাট এবং নিউটাউন এলাকায় জমির দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সরকারি জমির জবরদখল রুখতে ৪ সদস্যের একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর গঠন করা সেই কমিটিতে রয়েছেন ভূমি সংস্কার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, সেচ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রভাত মিশ্র, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মন এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
পড়ুনঃ কলকাতার মালিকানাহীন সম্পত্তি দখল করে নেবে পুরসভা, ঘোষণা করলেন ফির✅হাদ
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এই কমিটি জবরদখল হয়ে যাওয়া সর꧙কারি জমি পুনরুদ🍒্ধারের কাজের তদারকি করবে। জানা যাচ্ছে, সেচদফতরের অধীনে বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি রয়েছে, যেগুলি জবর দখল হয়েছে। তাই কমিটিতে রাখা হয়েছে ওই দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকেও। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিশকে সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে। তারপরেই লালবাজারের তরফে এমন নির্দেশ।