দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে সমন পাঠাল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের জন্য একাধিকবার চিঠি লেখা এবং দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর💟 এই কাজে লেগেছিলেন আর এক দুঁদে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানিয়েছিলেন। আর তার প্রেক্ষিতেই কাঁথির সাংসদকে তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে শিশির অধিকারীকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে দꩲ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল।
ঠিক কী দাবি করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়? শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আমি শিশির অধিকারীর চিঠির উত্তর দেওয়া নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁকে যত দ্রু🔜ত সম্ভব সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছি। উনি যে বিজেপিতে তার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই। এই নিয়ে দু’টি শুনানি হয়েছিল। সেখানে আমি ছিলাম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু উনি ছিলেন না। আশা করব, ১২ তারিখ উনি থাকবেন।’
আর কাঁথির সাংসদ ঠিক কী বলছেন? এই স🔯াংসদ পদ খারিজের🌳 সময় পেযে তিনি নয়াদিল্লি যাবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে চিকিৎসকের উপর। এমনই তিনি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বেঁচে আছি। প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। তাঁরা অনুমতি দিলেই নয়াদিল্লি যেতে পারব। আরꦜ না হলে পারব না।’ অর্থাৎ এবারও তিনি যাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
কেন এই সাংসদ পদ খারিজের দাবি উঠল? একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভামঞ্চে দেখা যায় কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তখনও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ ছাড়েননি। এরপরই শিশিরের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে🔥 লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই টানাপোড়েন চলছে। আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের পর শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে চারজন ক্রস ভোটিং করেছেন। তার মধ্যে দুটি ভোট দ্রৌপদী মুর্মু পেলেও বাকি দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। যে দুটি ক্রস ভোট হয়েছিল সেটা হল—কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলে অনুমান সকলের।