দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন♈ করার অভিযোগ উঠেছে সপ্তাহ ঘুরতে চলল। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সংসদের এথিকস কমিটি। কিন্তু তৃণমূলের তরফে কেউ এখনও মহুয়াকে নিয়ে রা কাড়েননি। তার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি মহুয়াকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? ষষ্ঠীর বিকেলে সেই আশঙ্কাতেই শিলমোহর দিলেন দলের এক মুখপাত্র।
মহুয়াকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেননি দলের কোনও নেতা। দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেউই কোনও কথা বলেননি তাঁকে নিয়ে। যদিও মহুয়ার বিরুদ্🥂ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে দিল্লি। একাধিক প্রশ্ন উঠেছে এরাজ্যেও।
মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান কী? এই প্রশ্নের উত্তরে ষষ্ঠীর বিকেলে তৃণম✃ূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই। দল এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না।’
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সিবিআইকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্র ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা ও দামি উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এমনকী দর্শন হীরানন্দানিকে সংসদের পোর্টালের🔯 ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দুবাইয়ের বাসিন্দা দর্শন সেখানে বসে ওই পোর্টালে নিজের ইচ্ছে মতো প্রশ্ন পোস্ট করতেন। যে প্রশ্নগুলি হীরানন্দানি গোষ্ঠীর বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে মহুয়ার সংসদের সদস্যপদ তো যাবেই। আর ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না তিনি।