সামনে দীপাবলি। তার আগে দেশে 🦩কয়লা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত কয়লার যোগান না থাকায় রাজ্যগুলিকে বিদেশ থেকে কিনতে বলছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় দীপাবলির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করলেন মমতা। তাঁর কটাক্ষ, কেন্দ্র সরকার কৃত্রিম কয়লা সঙ্কট তৈরি করছে। দেশে কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যগুলিকে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে বলছে। যদিও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'মা দুর্গার কৃপায়' বাংলায় কর্মসংস্থান ৩ লাখের, 'মডেল𝐆' তুলে🌊 ধরলেন মমতা
বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয় যে আমাদের মতো দেশে কয়লা নেই, বিদ্যুৎ নেই। সব রাজ্যকে বাইরে থেকে কয়লা কিনতে বলা হচ্ছে। তবে বাইরে থেꦬকে আমদানি করতে গেলে বেশি খরচ পড়বে। বিদেশ থেকে কয়লা কেনার জন্য কৃত্রিম কয়লা সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে।’ এরকম সমস্যা হলে দীপাবলিতে কীভাবে আলো জ্বলবে তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মমতার আরও কটাক্ষ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে কয়লার চু𒈔ক্তি বিদেশে হচ্ছে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে কয়লার উৎপাদন প্রায় ১২.৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১১.৯০ শতাংশ। কিন্তু, এই বৃদ্ধির পরেও দেখা যাচ্ছে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬ শতাংশ কয়লা বাইরে থেকে কিনতে বলছে। মমতার প্রশ্ন, উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কেন কয়লা কিনতে হবে? সে প্রসঙ্গে কৃত্রিম কয়লা সঙ্কট তৈরি করা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, কয়লার যোগান না থাকার জন্য রাজ্যগুলিকে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া থেকে কম দামে কয়লা কিনে এনে ভারতে বেশি দামে বিক্রি করা নিয়ে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। তা নিয়েও কেন্দ্রকে সমালোচনার 💧মুখে পড়তে হয়েছে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে সন্তোষজনক অবস্থাতেই রয়েছে। দেউচা পাচামি কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলেই 💛রাজ্যের কয়লা নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না। তবে কয়লা উত্তোলন করতে আরও দু'বছর সময় লেগে যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, থেꦕকে কয়লা উৎপাদন না হওয়া পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর জন্য কয়লা জোগাড় করা হবে।