আজ, শনিবার ভাইফোঁটা। কিন্তু কালীঘাটের আটচালার বাড়িতে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। কারণ প্রিয় দাদা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তাই বোন শোকাহত। শুধু কী সে দাদা ছিল! সে তো ছিল দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা। তাই তাঁর প্রয়াণের শোক সামলানো যাচ্ছে না। ভারাক্রান্ত মন শান্ত হচ্ছে না। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দাদা সদ্য প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়♔। মৃত্যুর পর থেকে বেশি কথা বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই কোনও উৎসবে সামিল হবেন না বলেই সিদ্ধান্🗹ত নিয়েছেন তিনি। তাই আজ নিজের বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই দিনে প্রত্যেক বছর দাদা সুব্রত আসতেন বোন মমতার বাড়িতে। যাঁর হাত ধরেই রাজনীতির হাতেখড়ি। আজ তিনি নেই। তাই তৈরি হয়েছে শূন্যতা। এই শূন্যতায় আজ হৃদয় ভারাক্রান্ত বোন মমতার। তাই এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘সুব্রতদার মৃতদেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।’ আর কোনওদিনই অভিভাবকসম, প্রিয় দাদা আসবেন না ব🦋োন মমতার কাছে ভাইফোঁটা নিতে। এই কঠিন বাস্তব মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে বোন মমতার।
জানা গিয়েছে, রীতি মেনে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আচারটুকু হবে। নিজের ভাইদের ফোঁটা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধꦿ্যায়। কিন্তু দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যে আড়ম্বর–আড্ডা এবং খাওয়া–দাওয়া চলত সেইসব কিছুই আজ বাতিল। এমনকী আর কোনও নেতা–মন্ত্রীকেও আসতে বারণ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ☂আজ একটু একা সময় কাটাতে চান। কারণ কিছুই হবে না কালীঘাটের বাড়িতে।
দাদার মরদেহ দেখতে সশরীরে আসার মনোবল হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সহকর্মীদের ফোন করে তদারকি করেছিলেন সবটুকু। শ্মশানে তোপ ধ্বনি দেগে গান স্যালুট দিল কলকাতা আর্মড পুলিশ। গতকাল বিকেল ৫টায় জ্বলে উঠল চুল্লি। শেষ হল এক বর্ণময় রাজনৈতিক অধ্যায়। চিরঘুমের ꦺদেশে পাড়ি দিলেন সবার সুব্রতদা।