বাংলার অনেক জলাশয় রয়েছে। এই জলাশয়গুলিতে মাছচাষের জন্য পাড়ার ক্লাব ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্🌌যোপাধ্য♏ায়। এর ফলে মাছের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানও। এ নিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মৎসমন্ত্রীকে নির্দেশও দিন তিনি।
বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে নানা পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে তিনি ইলিশের উৎপাদন ব✅ৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন। বেলাগাম খোকা ইলিশ ধরার ফলে রাজ্যে এই রূপালি ফসলের উৎপাদন কমছে। ফলে ইলিশের জন্য তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। বুধবার বিধানসভায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইন করে খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবু দেদার খোকা ইলিশ ধরা হচ্ছে। ফলে ইলিশের উৎপাদন কমছে। বাজারে বাড়ছে এই মাছের দাম। বাঙালির রসনা তৃপ্তির🌸 জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
অথ🍬চ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য রাজ্যে গবেষণাগার রয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ইলিশের গতিবিধি নিয়ে গবেষণা চলছে। এই গবেষণা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বিধানসভায় আশা প্রকাশ করে বলেন, 'ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলছে। আমাদের ওপারের ইলিশের উপর নির্ভর করতে হবে না।'
বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করাতেই এসেছে সাফল্য। তা ছাড়া ইলিশ ধরার সময়সীমাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে খোকা ইলিশ ধরাতে নিষেধাজ্ঞ﷽া থাকলেও বাজারে গেলে বোঝা যায় সেই আইন শুধুই খাতায়-কলমে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'শুধু আইন করে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করতে হবে।'