রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই অভিযোগ করেছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই তেলে বেগুনে দ্বলে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন লখনউ উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানে সিন্ধিয়ার অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপিত করা হলে মমতার সাফ জবাব,📖 ‘এত জমি জোগাড় করতে তো সময় লাগে। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম করতে দেব না।’ এরপর কেন্দ্রকে অণ্ডাল বিমানবন্দর ব্যবহার করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন বলেন, ‘বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ আমিও চাই। আমি চাই নতুন বিমান বন্দর হোক। কিন্তু হাজার একর জমি চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। আমি জোর করে জমি নিতে পারব না। এটা🔯 আমার সরকা🃏রের নীতি।’ মমতা এবরপর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাগডোগরায় জমি দেওয়া হয়েছে। ওটা কেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হচ্ছে না। অণ্ডাল বিমানবন্দর বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মানুষও ব্যবহার করে। ওটাকে কেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার।’
উল্লেখ্য, রবিবার কলকাতায় এসে আইসিসিআর-এ সিন্ধিয়া বলেছিলেন, ‘কলকাতায় দু’লক্ষ বর্গমিটারের নতুন𒁏 বিমানবন্দর গড়তে চেয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে যে বিমানবন্দর খোলা আছে, তাতে যাত্রী চলাচলের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে গিয়েছে। নতুন বিমানবন্দরটি গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের সঙ্গে বহু𒁃বার কথা হয়েছে। চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য পদক্ষেপ করেনি। বাগডোগরার বিষয়ে ১০ বার চিঠি দিয়ে তাড়াতাড়ি সাড়া দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য ফাইল নাড়ায়নি।’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এদিন সিন্ধিয়াকে পাল্টা তোপ দাগলেন মমতা।