স্ত্রী যদি স্বামীকে তাঁর বাবা মার থেকে আলাদা করতে চান তবে সেই স্বামী ডিভোর্সের জন্য মামলা করতে পারেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এনিয়ে একটা রায় দিয়েছে। ওই ব্যক্তি মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করতে পারেন বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে. কোনও উপযুক্ত কারণ ছাড়াই যদি স্ত্রী তাকে এভাবে বাবা মায়ের থেকে দূরে থাক🦹তে বাধ্য করেন তখন ওই স্বামী ডিভোর্সের জন্য় আদালতে মামলা করতে পারেন।
সম্প্রতি ফ্য়ামিলি কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক মহিলা উচ্চতর আদালতে গিয়েছি꧅লেন। আর তান🐎িয়েই এবার বিশেষ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে আদালত।
গত ৩১ মার্চ বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমার এক মহিলার আবেদনকে খারিজ করে দেন। ডিভিশন বেঞ্চের ওই সম্মানীয় বিচারকরা জানিয়ে দেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে কোনও পুত্র যদি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতে চান তবে সেটাই স্বাভাবিক।𒐪 একটি ইংরাজি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে হাই কোর্ট জানিয়েছে, 🐼বাবা মাকে দেখা এটা কোনও পুত্রের আবশ্যক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
এদিকে ২০০৯ সালে প্রশান্ত কুমার মণ্ডল ও ঝর্ণা মণ্ডল ꦉনামে এক দম্পতির মধ্যে ডিভোর্স হয়েছিল। এদিকে এরপরই ওই মহিলা আদালতে এই ডিভোর্সের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন। পারিবারিক আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছিল। মহিলার দাবি ছিল নিষ্ঠুর ভাবে তাকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি হাইকোর্ট থেকেও তাঁর পক্ষে কোনও নির্দেশ পাননি।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও আদালত ডিভোর্স সংক্রান্ত ব্য🎐াপারে নানা তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ডিভোর্সের জন্য় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একজনের ত্রুটি থাকতে হবে, এমনটার প্রয়োজন নেই। আদালতের পর্যবেক্ষণ মাঝেমধ্য়ে এমন পরিস্থিতি আসে যখন বিয়েটা ঠিকঠাক আর কাজ করে না কারণ তাঁদের মধ্য়ে ফারাকটা এতটাই বেশি।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌ🌌লের নেতৃত্বে সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতে ডিভোর্সের ব্যাপারটি পুরোপুরি ওই ত্রুটি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা এমন হতে পারে যে দুজন খুব ভালো মানুষ সবসময় ভালো পার্টনার নাও হতে পারেন।
বিচারপতিদের বেঞ্চের প্রশ্ন, ডিভোর্সের জন্য় কি একজনকে ত্রুটিযুকꦍ্ত হতে হবে? আদালতের মন্তব্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিভোর্স চাওয়ার জন্য সামাজিক নিয়ম, প্রত্যাশা এসব বিষয়গুলি কাজ করে। আসলে ত্রুটিটা ঠিক কী? কেউ কেউ বলেন, স্ত্রী সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা মাকে চা দেন না। এটা কি ত্রুটির তত্ত্ব?এসবই সামাজিক নিয়ম থেকে উঠে আসা বিষয়। সেগুলিকেই আমরা ত্রুটি বলে ধরে নিই।