এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চিত খব♔র—কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি। নাম কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের ক👍রেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের এক কর্মী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কাউকে বাদ দেননি কালীচরণ বলে অভিযোগ। সকলকেই ফোন করে অভিষেকের নাম অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন কালীচরণ বলে অভিযোগ। ইদানিং এই অভিযোগ বেশি করে আসছিল ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। তারপরই পদক্ষেপ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
এই কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৩ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায দিয়ে দ্বিতীয় হয়ে ভূমি রাজস্ব দফতরের চাকরিতে যোগ দেন। তারপর ২০০৬ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস পরীক্ষা দেন এবং প্রথম হন তিনি। ২০০৮ রাজ্য পুলিশে যোগ দেন কালীচরণ। কিন্তু ডিএসপি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় নানা কারণে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৮ সালে আবার ভূমি রাজস্ব দফতরে পুরনো পদে ফিরে আসেন কালীচরণ। ২০০৯ সালে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি ম্যানেজার পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। তারপর ৯ নম্বর বরো অফিসে সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে যোগ দেন। তখন ওই বরোর চেয়ারম্যান ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তখন থেকেই ফিরহাদ হাকিমের পছন্দের অফিসার হন কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: জেলমুক্তির পর প্রথম অনুব্রত–কাজল সাক্ষাৎ, বীরভূমের মাটিতে ঘটল পৃথক বৈঠক
মেধা যে তাঁর ছিল সেটা বারবার প্রমাণ দিয়েছেন কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে তিনি সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে চিফ ম্যানেজার পদে আসীন হন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৮ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হতেই কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ওএসডি পদে নিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে 💜সাংসদ তহবিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেলের মৃত্যুর পর সেখানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় কালীচরণ বন্দ্☂যোপাধ্যায়কে। তার পর থেকেই তিনিই শেষ কথা হয়ে ওঠেন কলকাতা পুরসভায় বলে সূত্রের খবর।
মেয়র চোখ বন্ধ করে ওএসডি’কে বিশ্বাস করেন। তাই কালীচরণ আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বিশ্বাস করতে পারেননি ফিরহাদ হাকিম। এই কালীচরণের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আছে। আর্থিক সুবিধা নিয়ে ট্রান্সফার করানো, পোস্টিং দেওয়া, বিল্ডিং বিভাগের কাজ–সহ একাধিক অভিযোগ শোনা যায় কলকাতা পুরসভায় পা রাখলেই। এই বিষয়ে আজ শনিবার এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার লেখেন, ‘আমি যখন দুর্নীতির বিষয়ে নিয়ে কথা বলেছি, তৃণমূলের তখন সেটা পছন্দ হয়নি। কিন্তু এখন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্🎃যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ অফিসারের বিরুদ্ধে তাঁর নামের অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। আর ওএসডি’র হয়ে সাফাই দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। দয়া করে দলটাকে পরিষ্কার করুন।’