তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলামকে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই পরিযায়ী শ্রমিকদের উন্🔯নয়ন এবং সুবিধার কথা ভেবে কাজ করতে শুরু করেছেন তিনি। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে হেল্পলাইন চালু করতে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ড। কোনও সমস্যায় পড়লে পরিযায়ী শ্রমিকরা সেই নম্বরে ফোন করে সাহায্য পেয়ে যাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিক ꦡউন্নয়নে বোর্ড গঠিত, দায়িত্বে তৃণমূলের নবাগত মুখ সমিরুল ইসলাম
সাধারণত ভিন রাজ্যে বা বিদেশে কাজে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্ꦉযদের ছাড়া প্রশাসনের কাছে সরাসরি যোগাযোগের কোনও সুযোগ থাকে না। লকডাউন পর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা প্রকট হয়েছিল। বিপদে পড়তে হয়েছিল এ রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিককে। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এ বছর পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সামিরুল ইসলামকে। তারপরেই হেল্পলাইন চালুর চিন্তাভাবনা করছে বোর্ড। জানা যাচ্ছে, ১০৯৮, ১১২ বা ১০০ ডায়ালের মতো হেল্পলাইন চালু করা হবে। শুধু হেল্পলাইনই চালু করা হবে না, পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তের জন্য একটি অ্যাপও চালু করা হবে। যদিও আগেও এই অ্যাপ ছিল। তবে এবার অ্যাপটিকে আরও সরল করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা যে কোনও রাজ্য থেকে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিপদে পড়লে তাঁরা সাহায্যের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। যদিও এতে সমস্যার সমাধান কতটা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহা। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের পরিযায়ী শাখার রাজ্য কমিটি সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। এ নিয়ে তাঁরা একটি তালিকা তৈরি করেন এবং সেই তালিকা রাজ্য সরকারকে তাঁরা জমাও দিয়েছে। অনাদি সাহার বক্তব্য, বিপদে পড়লে সমস্যার সমাধান হবে ঠিকই। তবে শ্রমিকদের আর্থিক সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি কর্ম সংস্থানের সুযোগ যাতে হয় সেই ব্যবস্থা𝄹ও করতে হবে। এ রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ কম থাকার কারণে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে। সিটুর বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ব্লক স্তরে তথ্যভাণ্ডার চালু করা প্রয়োজন।
যদিও সামিরুল জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রܫমিকদের জন্য অনেক কাজ করতে হবে। তার জন্য সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোন বোর্ড এখনও পর্যন্ꦰত অন্য কোনও রাজ্যে নেই। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এই বোর্ড রয়েছে বলে দাবি করেছেন সামিরুল। তিনি জানান, এই বোর্ডের প্রথম কাজ হল শ্রমিকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা। শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করা। শ্রমিকের নাম কী? কোথায় বাড়ি? কি কাজ করেন? কোথায় কাজ করেন? এই ধরনের তথ্য তাতে রাখা হবে।