বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদ কেন বাংলাদেশে ফিরলেন সেই রহস্যের সমাধান এখনো অধরা কলকাতা পুলিশের কাছে। গত রবিবার মধ্যরাতে মাজেদের ফাঁসির পর মাজেদের ইতিবৃত্ত নিয়ে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁকে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাౠদেশের হাতে তুলে দিয়েছেন, না কি বাংলাদেশের গোয়েন্দারাই ভারতে এসে তাঁকে কোনও ভাবে বাংলাদেশে যেতে বাধ্য কﷺরেছেন তা জানা যায়নি।
কলকাতা পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, পার্ক স্ট্রিট এলাকার বেলফোর্ড রোডে ভাড়া থাকতেন মাজেদ। আলি আহমেদ নামে সেখানে ইংরাজির টিউশন পড়াতেন তিনি। এলাকাবাসী জানতেন🐽, তিনি সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। এর পর তাঁর খোঁজ মেলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। কিন্তু কী করে কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছলেন তিনি। তা এখনো ধোঁয়াশা গোয়েন্দাদের কাছে।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এলে দেশ ছাড়েন মাজেদ। ঘাঁটি গাড়েন কলকাতায়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন বেশ কিছুদিন ভাড়া ছিলেন তালতলা এলাকায়। এর 🧔পর ২০১১ সালে বিয়ে করেন তিনি। তার একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। চলে আসেন পার্ক স্ট্রিটের বেলফোর্ড রোডে🅠র ভাড়াবাড়িতে। নির্বিবাদী মানুষটাকে কোনওদিন উঁচু গলায় কথা বলতে শোনেননি এলাকাবাসী।
বেশ কিছুদিন ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন মাজেদ। গত জানুয়ারিতে এসএস⛎কেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়া꧂রি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট আনতে বাড়ি থেকে বেরোন মাজেদ। কিন্তু আর ফেরেননি। সেদিন রাতেই পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মাজেদের স্ত্রী।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে কাছের ওষুধের দোকানে যান মাজেদ। সেখান থেকে রিপন স্ট্রিট ধরেন। সেই সময় তার পিছু নেয় ৪ যুবক। মাজেদ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট হয়♒ে লোয়ার সা꧋র্কুলার রোডে পৌঁছন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বলেন ওই ৪ জন। এর পর মাজেদ এসএসকেএম যাওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। একই বাসে ওঠেন ৪ যুবকও।
জানা গিয়েছে মাজেদের ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন মিলেছে মালদায়। গোয়েন𓄧্দাদের ধারণা, চার যুবক তাঁকে কোনও ভাবে হাওড়া স্টেশনে নিয়ে গিয়ে মালদাগামী ট্রেনে তোলেন। পরে মেঘালয়ের ডাওকি সীমান্ত দিয়ে ময়নসিংহ দিয়ে বাংলাদেশে ঢো𓄧কেন তিনি।
মাজেদের কলকাতার ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। যাতে মিলেছে ভারতের যাবতীয় নথি। মিলেছে, ভোটার কার্ড, আধার কাꦇর্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট। মাজেদের স্ত্রী জানি𒈔য়েছেন, ওই ব্যাগে কাউকে হাত দিতে দিতেন না তিনি।
কলকাতা থেকে কারা মাজেদকে বাংলাদে൲শে তুলে নিয়ে গেল তা জানতে কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। তাকে কি বাংলাদেশের গোয়েন্দারা নিয়ে গেলেন, না কি ভারত সরকারই তাকে ফ🔯েরত পাঠিয়েছে তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা।