শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অয়নকে জেরা করে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। তবে এবার যে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে তা কার্যত তদন্তের মো꧋ড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। অয়ন শীলের অফিস থেকে একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিলেন ত💫দন্তকারীরা। হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেই হার্ড ডিস্কের ফোল্ডার থেকে এবার ইডির হাতে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।
সূত্রের খবর, সেই হার্ড ডিস্কে প্রায় ১২ কোটির হিসেব রয়েছে। সেখানে আবার নাম ও টাকার অঙ্কও লেখা হয়েছে। মূলত পুরসভা♓য় চাকরি দুর্নীতিতেও হাত পাকিয়েছিলেন অয়ন। টাকার বিনিময়ে টাকা নেওয়༺া হত বলে অভিযোগ। আর কোন পুরসভায় চাকরির বিনিময়ে ঠিক কত টাকার লেনদেন হত সেটাও লেখা রয়েছে ওই হার্ড ডিস্কে। সব মিলিয়ে সেখানে ১২ কোটির হিসেব রয়েছে বলে খবর।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুরসভায় চাকরি দিতে গেলে একা অয়নের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। তবে 🐓আর কারা যুক্ত ছিলেন এই চক্রের পেছনে? শাসক দলের কেউ এই চাকরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচছে।
অয়ন শীলের সল্ট লেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এই হার্ড ডিস্কটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এদিকে ইডির তরফে আগেই জানানো হয়েছিল তারা তথ্যে খনিতে প্রবেশ করেছেন। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন নতুন নতুন তথ্য সামন🍃ে আসতে শুরু করেছে। ঠিক কী পাওয়া যাচ্ছে ওই হার্ড ডিস্কে?
সূত্রের খবর, একটি হার্ড ডিস্ক যাচাই করা গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল তার হিসেব রয়েছে ফোল্ডারে। এই তথ্য দেখিয়ে অয়নকে জেরা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে পুরসভায় চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে যে টাকা তোলা হয়েছিল তা তদন্তকারীদের সামনে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অয়ন শীল। এবার প্রশ্ন সেই বিপুল অঙ্কের টাকার ভাগ কি অয়ন একাই পেয়েছিলেন? নাকি এর পেছনে আরও বড় চক্র কাজ করেছিল|? আর কোন রাঘব বোয়াল এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী। আ𝔉র একটি ফোল্ডার থেকেই ১২ কোটির হিসেব। অন্য হার্ড ডিস্ক খুললে বাস্তবে ১০০ কোটি টাকার হিসেব বেরোতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পর্ষদের নকল ওয়েবস⛄াইট তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ওয়েবসাইট সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়ে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই।