আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান রয়েছে। ইতিমধ্যেই চারিদিকে পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বসে গিয়েছে। যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য মোট ৬ হাজার পুলিশকর্মী শহরের রাস্তায় মোতায়েন থাকไছে। তবে নবান্ন অভিযানের এই সাজসাজ রবের মধ্যে বাধ সেধেছে নাগাড়ে বৃষ্টি। আর আজ সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ছাত্র সমাজের চারজন নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন।
নবান্ন অভিযানের দিনেই চারজন ছাত্র নিখোঁজ বলে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তাতেই তেতে উঠেছে নবান্ন অভিযান। তবে এই খবর তিনি কেমন করে জানলেন সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। ইতিমধ্যেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করাಞর চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। অভিযানের নেপথ্যে বিজেপির ছক যে পুলিশকে প্ররোচিত করে গুলি চালাতে বাধ্য করা সেটাও জানতে পেরেছে তারা। এমনকী ‘বডি না পড়লে’ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাটালের তি🦩ন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল) সামনে এসেছে।
এই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর আজ, মঙ্গলবার সকালে তিনজন ছাত্র নিখোঁজ বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যে তিনজন নিখোঁজ ছাত্রের ♛কিছু হলে ‘মমতার পুলিশ’ দায়ী থাকবেꦿ বলে আওয়াজ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ নিজেদের অরাজনৈতিক দাবি করে ছাত্র সমাজের যে আহ্বায়করা সামনে এসেছেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁদের যোগের বহু প্রমাণ মিলেছে। তাঁদেরই একজন রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠকে রক্ত ঝরানোর ব্লু–প্রিন্ট তৈরি হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
আরও পড়ুন: ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ নিয়ে এবার ইচ্ছুক–অনিচ্ছুক বিভাজন, একজোট হওয়ার ডাক দিলেন পুরপ্রধান
আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই হাওড়া ব্রিজে পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘কয়েকজন ছাত্র নেতা ভলান্টিয়ারদের খাবার বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন। যাঁরা হাওড়া স্টেশনে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝরাত থেকে তাℱঁরা নিখোঁজ। শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি এবং প্রীতম সরকার নিখোঁজ। তাঁদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্🤡ছে না এবং তাঁরা ফোনও ধরছেন না। আমরা মনে করছি তাঁরা মমতা পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার বা আটক হয়েছেন। তাঁদের যদি কিছু হয় তাহলে মমতার পুলিশ দায়ী থাকবে।’ এই পোস্ট তিনি রাজ্যপাল, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, হাওড়া পুলিশ কমিশনার এবং অজয় ভাল্লাকে ট্যাগ করেছেন।