আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এ༺খন তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দেশের এক নম্বর তদন্তকারী সংস্থা। সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এখন সে সিবিআইয়ের হাতে। জেল হেফাজতে আছে অভিযুক্ত সঞ্জয়। এবার গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে মেজাজ মারমুখী নিয়ে যারা তাণ্ডব চালিয়ে ছিল তাদের গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়ে অশান্তি করার অভিযোগে মহেশতল✅া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক তরুণীকে। আর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে তাঁকে শনাক্ত করার পর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে গুন্ডাদমন শাখা।
আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এসেছিল সিবিআই। এখানে অনিয়ম ಌরয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো তা এখনও জানানো হচ্ছে না। আজও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া তরুণীর নাম রিঙ্কু সিং। বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী তিনি। ওইদিন নবান্ন অভিযানে রিঙ্কু এবং তাঁর সঙ্গীদের হাতে ইট দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এসবের ভিত্তিতেই পুলিশ রিঙ্কুকে গ্রেফতার করেছে। ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর চোখে আঘাতের ঘটনায় ধরপাকড় শু🔴রু করেছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: এবার অভয়ার মৃত্যুর সময় নিয়ে গরমিল প্রকাশ্যে এল, পানিহাটি শ্মশানের তথ্যে নয়া মোড়
এই ইট ছুড়ে চোখে আ൲ঘাতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর গাড়িতে ইট ছুড়ে হামলার জেরে তাঁর চোখ নষ্ট হতে বসেছে। এই ঘটনায় ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই আজ, বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালবাজার সূত💞্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম রিঙ্কু সিং। মহেশতলার বাসিন্দা। সুব্রত দাস নামের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় যাদের দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে এই দু’জন ছিল।
নবান্ন অভিযানের নামে তাণ্ডবের দু’দিনের মাথায় এদের গ্রেফতার করা হল। এদের জেরা করে বাকিদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। যে দু’জনকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে তারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। এতে বিপাকে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব বরদাস্ত করা হবে না বলে পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী সেটা জানিয়ে দিয়েছেন। এবার শুরু হয়েছে গ্রেফতারের কাজ। এরা কেউ ছাত👍্র সমাজের প্রতিনিধি নয়। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলে যা দাবি করা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এখন প্রশ্নের মুখে স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টও। কারণ শান্তিপূর্ণ মিছিলে হস্তক্ষেপ করা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর যা ঘটল তাতে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা গেল না আদালতকে।