রাজ্যের বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখান থেকে টাকা কেটে নিয়ে তার ভাগ দিচ্ছে༒ না। এমনই অভিযোগ করতে শোনা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকী নয়াদিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও বকেয়া রয়ে গিয়েছে। এবার কত টাকা, কোন খাতে বকেয়া রয়েছে তার হিসেব তুলে ধরা হল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আর তা তুলে ধরল অর্থদফতর।
ঠিক কী হিসাব দিয়েছে অর্থ দফতর? অর্থদফতর একটি তালিকা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বকেয়া টাকার হিসাব পাঠিয়েছཧে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজস্ব ঘাটতি তহবিলের ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বাংলার। নবান্ন সেই হিসাব তুলে ধরেছে। এমনকী কোন কোন খাতে একটু টাকা পাওয়া গিয়েছে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। এই হিসাব পাওয়ার পর অবশ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আর কী জানিয়েছে অর্থ দফতর? হিসেবনিকেশ করে অর্থ দফতর জানিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন যে সুপারিশ করেছিল সেটা অনুযায়ী কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। তবে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ❀এই বকেয়া টাকার সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর🌱্থ বরাদ্দের কোনও সম্পর্ক নেই। করোনাভাইরাস এবং লকডাউনের জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে বহু রাজ্♎য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজস্ব ঘাটতি তহবিলে ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবার ষষ্ঠ কিস্তির টাকা পেলেও 𓂃রয়েছে বকেয়াও।
কোন কোন রাজ্যে বকেয়া রয়েছে? এই বকেয়ার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়♔েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা এবং উত্তরাখণ্ড। এছাড়া একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক এবং আবাস যোজনা–সহ নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই বকেয়ার দীর্ঘ তালিকা পাঠানো হয়েছে।