💎বেলুড় মঠ। যে মঠ মিশনের নাম শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত করেন আপামর মানুষ। এবার সেই বেলুড় মঠের 🐷নামকেও ব্যবহার করা হল বিজ্ঞাপনে। আর সেই বিজ্ঞাপনকে ঘিরে একেবারে নিন্দার ঝড়। ইতিমধ্যেই এনিয়ে সমালোচনার ঝড়় উঠছে। কেন মিশনের অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা হল?
হাওড়া থেকে কলকাতায় প্রবেশের মুখেই বিরাট হোর্ডিং দিয়েছে একটি সিমেন্ট কোম্পানি। সেখানে লেখা হয়েছে, হাওড়ার বেলুড় মঠ আর সিমেন্টে কংক্রিটো। নামটাই যথেষ্ট। আর এখানেই প্রশ্ন, লক্ষ লক্ষ মানুষের 🌠আশা ভরসার প্রতীক হল বেলুড় মঠ। বহু মানুষের আস্থার স্থান এই বেলুড় মঠ। কিন্তু কোনও বাণিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে কেন সেই বেলুড় মঠের নাম ব্যবহার 🐽করা হল?
হাওড়া ব্রিজ থেকে ব্রেবোর্ন রোডের ফ্লাইওভᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚারে ওঠার পরেই রাস্তার বাঁদিকে এই বিজ্ঞাপনটি চোখে পড়ে। দুটি হোর্ডিং রয়েছে। তার মধ্য়ে নীচের হোর্ডিংটিতে বেলুড় মঠের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এবার প্রশ্ন সেই বিজ্ঞাপনে বেলুড় মঠের নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি মিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে? এনিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, এমন কোনও অনুম꧒তি কোনও সংস্থাকেই দেওয়া হয়নি। কারও সঙ্গে কোনও কথাও হয়নি। সেই সঙ্গেই ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, মহারাজ জানিয়েছেন, এটা ভক্তদের বিশ্বাসকে আঘাত করতেই পারে। আমরা ওই ছবি পেলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমরা কোনও রকম বিজ্ঞাপন করি না। অথচ আমাদের নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন করা হয়েছে শুনে অবাক লাগছে। কাউকে কখনওই এই ধরনের অনুমতি দেওয়া হয় না। ♍এক্ষেত্রেও অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই নেই। এমনকী মঠের তরফে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কার্যত বেলুড় মঠের নাম ব্যবহার করে সিমেন্টের বিক্রি বꦐৃদ্ধি করার , সিমেন্টের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধির এই কৌশল কার্যত বহু ভক্তের মনে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে প্রথমত বি⭕ষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি। তবে পরে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি এটা নিয়ে কারো কোনও অভিযোগ থাকে বা এটা নিয়ে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের কোনও আপত্তি থাকে তবে ওই হোর্ডিং সরিয়ে নেওয়া হব💧ে।