পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এবা♕র তাল কাটল। কারণ আগামী ২০ মে বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে। ওইদিনে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভো🌌টগ্রহণ হবে। এই আবহে আবার পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে জরিমানা ও শাস্তির মুখে পড়ল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দুটি সংস্থা। নির্দিষ্ট সময়ে কতদূর কাজ এগিয়েছে সেসব জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। আর তাই কেন এই সংস্থাদের জরিমানা করা হবে না? এমন প্রশ্ন তুলে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের (হিডকো) বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
গতকাল শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। রাজপুর–সোনারপুর এলাকায় জল প্রকল্প এবং আদিগঙ্গার সৌন্দর্যায়ন নিয়ে একটি মামলায় পরিবেশ আদালত ওই দুই সংস্থার কাছে জানতে চায়, ‘দ্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, ২০১০ সালের ২৬🌄 নম্বর ধারা অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না? এই ধারায় নির্দেশ না মানার জন্য জেল–জরিমানা দুটোই হতে পারে। এমনকী প্রয়োজনে আরও বেশি আর্থিক জরিমানা করাও হতে পারে। এই কাজ করার জন্য আদালত একটি নির্দেশ দেয় কেএমডিএ সংস্থাকে। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ উঠেছে হিডকোর ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন: ‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে🍰ও টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছিল’, ভোট মরশুমে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
দক্ষিণ কলকাতার একটা অংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর–সোনারপুর থেকে শুরু করে বারুইপুর পুরসভা এবไং কলকাতা পুরসভার অধীনে থাকা গড়িয়া ও টালিগঞ্জ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে একটি প্রকল্প নেয় কেএমডিএ। এই প্রকল্পের জন্য আদিগঙ্গার দু’পাড়ে এবং সন্নিহিত এলাকায় পাইপলাইন বসিয়ে কাজ করার কথা ছিল। গঙ্গা থেকে জল তুলে পাইপলাইনের মাধ্যমে রিমাউন্ট রোড, আলিপুর, গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন হয়ে রাজপুর–সোনারপুরের পরিশোধন প্লান্টে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পাইপলাইন বসাতে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের জন্য মেট্র🐓ো রেলওয়ে এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের (কলকাতা বন্দর) কাছে আবেদন করে কেএমডিএ।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তাল কাটে অন্য জায়গায়। এই ছাড়পত্র পাওয়ার কথা আদালতে জানায় কেএমডিএ। আর পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। তখন পরিবেশ আদালত ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে🌃 কেএমডিএ’কে নির্দেশ দেয়, পাইপলাইন বসানোর কাজ ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে। আর ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে একটি ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে। আবার আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবন ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার এবং ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর🌃্ট’ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হিডকোকে নির্দেশ দেয়ল আদালত। কিন্তু আজ মে মাস হয়ে গেলেও দুই সংস্থার পক্ষ থেকে সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। তাই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দাখিল করে পরিবেশ আদালত এবং শোকজ নোটিশ জারি করে। ১ জুলাই পরবর্তী শুনানি। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, পরিবেশ নিয়ে বারবার আদালতে ধাক্কা খেলেও সক্রিয় হয়নি রাজ্য।