আকাশ ছোঁয়া আবাসন, বাহারি ইমারত, প্রশস্ত রাস্তাঘাট কিংবা নগরায়নের বা শহুরে উন্নয়নের ফলে ক্রমেই ধ্বংস হচ্ছে সবুজ। যার ফলে বাড়ছে দূষণ। দেশের কয়েকটি রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গের 🗹অবস্থা এরকমই। এমন অবস্থায় রাজ্যকে সতর্ক করল জাতীয় পরিবেশ আদালত (ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল)।
পশ্চিমবঙ্গের যে শহরগুলি এই তালিকা রয়𒁏েছে সেগুলি হল কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর, খড়্গপুর প্রভৃতি। নগরায়ন বা শহুরে উন্নয়নের ফলে এই শহরগুলিতে দূষণের মাত্রা বিপদজনক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে সেই পরিসংখ্যানই ধরা পড়েছে। রাজ্য সরকার বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ নিলেও রাজ্যে সবুজায়ন যথাযথ নয় বলে মনে করছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ℱসম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে সে বিষয়টি জানিয়েছে পরিবেশ আদালতের চার বিচারপতির বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে সবুজায়নের স্বার্থে এবং দূষণ রুখতে রাজ্যের পুরসভা এবং পরিবেশ পর্ষদ গুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
যদিও রাজ্যের নগর উন্নয়ন দফতরের এক শীর্ষ অধিকারিকের কথায়, কলকাতা বা শহরতলিকে স্মার্ট সিটি গড🌄়ে তোলা হচ্ছে সবুজায়নের দিকে নজর রেখেই। তবে তা যে যথাযথ নয় তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে সাম্প্রতিক দুটি সমীক্ষার রিপোর্টে। কলকাতা এবং শহরতলিতে নগর উন্নয়ন নিয়ে দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন পরিবেশ গবেষক অশ্বিনী সাঙ্খালা এবং ভাস্বতী রায়চৌধুরী। পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজ়ারভেশন অব নেচার’ (আইইউসিএন)-এর কাছে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে উন্নয়নের নামে সবুজকে ধংস করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজ্যদূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন এক কর্তার কথায়, রাজ্যে উন্নয়নের নামে যা হচ্ছে তার ফল෴ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশবিদরা বাইপাস লাগোয়া জলাভূমি ভরাট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই অবস্থায় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ না মানলে আগামী দিনে শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব🐠াইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।