লকডাউনের জেরে কলকাতায় অনাহারে একের পর এক ঘোড়ার মৃত্যু হচ্ছে বলে দাবি মালিকদের। গত মে মাস থেকে এপর্যন্ত শহরে অনাহারে অন্তত ৫টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। ঘোড়ার মালিকরা জানাচ্ছেন, ভাড়া না থাকায় ঘোড়াকে খোরাকি দেওয়ার পয়সা নেই🦹 তাঁদের কাছে। ফলে চোখের সামনে না খেতে পেয়ে প্রিয় পোষ্যটির মৃত্যু হলেও করা যাচ্ছে নꦦা কিছুই।
কলকাতায় ঘোড়ার মূল ঠিকানা হেস্ꦅটিংসে বিদ্যাসাগর সেতুর নীচে গঙ্গার পাড়ে। সেখানে এবছর অনাহারে ৩টি ঘোড়াཧর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিকরা। ঘোড়ার মালিকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন একটি ঘোড়ার খোরাকি প্রায় ২০০ টাকার। ঘোড়াকে ঘাস, ছোলা, ভুসি খাওয়াতে হয়। অসুখ করলে দিতে হয় ওষুধ। কিন্তু মে মাস থেকে শুরু লকডাউনে নিজেদেরই খাওয়ার ঠিক নেই, ঘোড়াকে খাওয়াবো কী?
তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছর লকডাউনের সময় রাজ্যের বনদফতর ও লালবাজারের মাউন্টেড পুলিশের তরফে ঘোড়ার খা▨বারের ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু এবার কেউ ব💙্যবস্থা করেনি। মাঠে চরে বেঁচে থাকবে এত ঘাস কলকাতার কোনও মাঠেও নেই।
হেস্টিংসে থাকে কম বেশি ৬০টি ঘোড়া। ভিক্টোরিয়ার সামনে গাড়ি টানে সেগুলি। এছাড়া বিয়ে বাড়িতেও ভাড়া খাটে ঘোড়াগুলি। কিন্তু লকডাউনের জেরে গত এপ্রিল থেকে ✤বন্ধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সম্প্রতি ভবন সংলগ্ন উদ্যান খোলা হলেও পর্যটকের দেখ🐟া নেই।
ঘ🌟োড়ার 🀅মালিকরা বলছেন, এভাবে চললে বাকি ঘোড়াগুলিও একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। তাই সরকারের সহযোগিতা চাইছেন তাঁরা।