ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে আপাতত ১৪ দিন শ্রীঘরে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদ𝐆া দেওয়া হয়নি পার্থকে। সাধারণ বন্দির মতোই থাকছেন পার্থ। প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর ঠিকানা আপাতত পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সেল টু। এই ওয়ার্ডেই পার্থর পাশের সেলে রয়েছেন ছত🍃্রধর মাহাতো। আর আছে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো কুখ্যাত জঙ্গি আফতাব আনসারি, জামালউদ্দিন নাসের–সহ বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা।
কেমন পরিবেশ প্রেসিডেন্সি জেলে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২২ বছর ধরে বিধায়ক পদে রয়েছেন। আর ১১ বছর ধরে মন্ত্রী ছিলেন। আবার দলের শীর্ষ পদে। এখন সেসব অতীত। নাকতলার বিলাস🐠বহুল বাড়িতেই জীবন কাটত আরামেই। কিন্তু এখন তিনি জেলে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে সাধারণ বন্দির মতোই রাত কাটল তাঁর। সেখানে এসি নেই। তাই পার্থর রাত কাটালেন সাধারণ পাখার হাওয়াতেই। সাধারণ চাদরেই শুতে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে কোনও চেয়ার–খাট নেই। রাতে মেঝেতেই শুতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে বলে খবর।
আর কী ব্যবস্থা রয়েছে? সূত্রের খবর, রাতে তাঁকে দেওয়া হয়েছে মিনারেল 🐼ওয়াটারের বোতল। আর সকালে প্রাতরাশে ছিল অন্যান্য বন্দিদের মতোই চ𓃲া–বাটার টোস্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়✅ের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত রক্ষীর ব্যবস্থা হয়েছে। রাতে পার্থকে খেতে দেওয়া হয় রুটি এবং সবজির ঘ্যাঁট। তবে সেলে ঢুকে পার্থ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে কী করে থাকব?’
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শনিবার পার্থর বাড়ির লোক চাইলে🔜 খাবার বা পোশাক দিতেই পারেন। ইডি চাইলে আদালতে আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আবার জেরা করতেই পারে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলের অফিসার বলেন, ‘জেলে এলে কেউ আর নেতা নন, মন্ত্রী নন, প্রত্যেকেই বন্দি। তাই সবার সঙ্গেই সমান ব্যবহার করা হবে।’ জেলে রয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। তাঁকেও থাকতে হচ্ছে সাধারণ 😼বন্দিদের সঙ্গেই। বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত অর্পিতা ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ড্রাই–ফ্রুট খাওয়ার আবদার করেছিলেন। কিন্তু জেলে তাঁকে দেওয়া হবে সাধারণ ভাত–ডাল–তরকারিই।